জিয়া চ্যারিটেবল ও অরফানেজ দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ জুলাই

খালেদা জিয়াবিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার দুপুরে ঢাকার ৫ নং বিশেষ জজ আদালতের (পুরান ঢাকার বক্সিবাজারে অস্থায়ী আদালত) বিচারক মো. আখতারুজ্জামন এ দিন ধার্য করেন।  বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী নুরুজ্জামান তপন।

এ সময় খালেদা জিয়া কেন আদালতে উপস্থিত নেই বিচারক জানতে চাইলে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে গেছেন। আদালতের অনুমতি ছাড়া খালেদা জিয়া কেন দেশের বাইরে গেলেন? প্রশ্ন রাখেন বিচারক।

তখন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বাতিলের আবেদন করেন।

এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বিচারকে বলেন, এ মামলায় এর আগেও তিনি দেশের বাইরে গিয়েছেন তখন তো কোনও সমস্যা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, তিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে গেছেন এবং খুব দ্রুত দেশে ফিরে আসবেন এবং নিয়মিত আদালতে উপস্থিত থাকবেন। পরে সানাউল্লাহ মিয়া আদালতের কাছে ফোজদারি কার্যবিধি ৫৪০(ক) ধারা অনুযায়ী বিচার কার্য চালিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন।

এরপর বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে মামলা পরিচালনার আদেশ দেন। এসময় মামলার অপর আসামি জিয়াউল হক মুন্নার আইনজীবী আমিন উদ্দিন এ মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদকে আংশিক জেরা করেন। আংশিক জেরা শেষে বিচারক দুইটি মামার পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ২৪ জুলাই নির্ধারণ করেন। তবে বুধবার জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আংশিক জেরা হলেও জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলার কোনও শুনানি হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ মামলা দুটির অভিযোগ গঠন করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে দুদক খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় অপর মামলাটি করে দুদক। এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয় ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ মামলা দুটির অভিযোগ গঠন করেন।

/এসআইটি/জেবি/এসএনএইচ/