মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) এক যুক্ত বিবৃতিতে সিপিবির সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড মো. শাহ আলম এবং বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, ‘উচ্চ আদালতের এ রায়ে দেশবাসী ক্ষুব্ধ ও হতাশ। আদালত নিজেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, এ হত্যাকাণ্ডে পুলিশ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন এবং চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অসামঞ্জস্যপূর্ণ। দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ও চিকিৎসক দায়িত্বে অবহেলা ও পেশাগত অসদাচরণ করেছেন কিনা যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।’
উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে দল দুটির নেতারা দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ও চিকিৎসকের ইচ্ছাকৃত ত্রুটি আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের কাছে দরজি দোকানি বিশ্বজিৎ দাসকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিম্ন আদালত ২১ আসামির আট জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। গত রবিবার (০৬ আগস্ট) মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন এবং চার জনের মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন ও দু’জনকে খালাস দেন। এ ছাড়া,যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আরও দু’জনকে খালাস দেওয়া হয়। ওই মামলায় পলাতক ১১ জন আপিল করেনি।
বিবৃতিতে বাম নেতারা বলেন, আইনি তর্ক-বিতর্ক ও সাক্ষী-প্রমাণ প্রদর্শনের মাধ্যমে সরকারি কৌঁসুলিদের আদালতে বিষয়টি প্রমাণে ব্যর্থতায় জনগণের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিনা। নেতারা বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার এবং তার পরিবারের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে উচ্চ আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
/সিএ/এএম