বাঙালির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু ৪৬৮২ দিন জেল খেটেছেন: তোফায়েল

তোফায়েল আহমেদবাঙালি জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪ হাজার ৬৮২ দিন জেল খেটেছেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতিকে তিনি উদ্বুদ্ধ করেছিলেন স্বাধীনতার জন্য। তার লক্ষ্য ছিল জাতির মুক্তি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা। প্রত্যেককে তিনি পরিবারের সদস্য মনে করতেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা শুনলে তিনি তা বিশ্বাস করতেন না।’
রবিবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড:  দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির  বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত আলোচনা সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশে-বিদেশে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা ছিল আকাশ ছোঁয়া। বিপুল জনপ্রিয়তার কারণেই তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের শিকার হন তিনি। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন বাঙালি জাতির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। চক্রান্ত করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল, আজ তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও বার বার হত্যার চক্রান্ত করা হচ্ছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত করে ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হলেও, কেউ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে পারবে না। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাংলার মাটি থাকবে, বাংলাদেশের মানুষ থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বেঁচে থাকবে।’

বঙ্গবন্ধু শূন্য হাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পরিচালনার দায়িত্বভার নিয়েছিলেন উল্লেখ করে তোফায়েল বলেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র তিন বছর সাত মাস দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি দু’টি লক্ষ্যকে সামনে রেখে সংগ্রাম করেছেন। একটি হলো— বাঙালি জাতির স্বাধীনতা, অন্যটি অর্থনৈতিক মুক্তি। তিনি দেশকে স্বাধীন করেছেন, আজ তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন। ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল মধ্যম আয়ের দেশ। এক সময় যারা বাংলাদেশকে বলতো তলাবিহীন ঝুড়ি, দরিদ্র দেশের মডেল এবং বাংলাদেশ উন্নতি করলে পৃথিবীতে আর কোনও দরিদ্র দেশ থাকবে না। আজ তারাই বলছেন, বাংলাদেশের বিস্ময়কর উত্থান হয়েছে। উন্নয়নের রোল মডেল।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সৈয়দ বদরুল হাসান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাঈদ, আওয়ামীলীগ নেতা মোজাফ্ফর আহমেদ পল্টু, দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, ঢাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম, বিএফইউজে এর সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মুকুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রথম সহ-সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম,  সহ-সভাপতি মো. আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

/এসআই/এসএমএ/