১৯ নয় ১৮ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও করবে হেফাজত

১৯ নয় ১৮ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও করবে হেফাজতে ইসলাম। রবিবার সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। যদিও গত ০৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী ১৮ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে মুসলমানদের ওপর বর্বরোচিত নির্যাতন ও অব্যাহত গণহত্যার প্রতিবাদে আগামী ১৯ নয় ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। এছাড়াও আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর জুমাবার দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের ডাকে বিক্ষোভ ও গণমিছিল হবে। ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার জাতিসংঘ ও ওআইসি মহাসচিব বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান, মসজিদ মাদরাসায় কুনুতে নাজেলার আমল জারি করার নির্দেশ ও নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনীয় ত্রাণ সাহায্য পৌঁছানোর জন্য হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে ত্রাণ তহবিল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের প্রয়োজনীয় ত্রাণ সাহায্য সংগ্রহ করে তাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় ত্রাণ তহবিল কমিটি গঠন করা হয়ছে। হেফাজতের মহাসচিব ও দারুল উলুম হাটহাজারীর শায়খুল হাদীস জুনায়েদ বাবুনগরীকে আহবায়ক, মাওলানা লোকমান হাকীম মোজাহের উলুম, মাওলানা সলিমুল্লাহ নাজিরহাট, মাওলানা আবুল হাসান জোয়ারিয়ানালা, মাওলানা আনাস মাদানীকে হাটহাজারী, সদস্য করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট ত্রাণ কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া হেফাজতে ইসলামের সকল শাখা কমিটি স্থানীয়ভাবে ত্রাণ সংগ্রহ করবে।