বুধবার বিকাল ৫টা ২০ মিনিট নাগাদ খালেদা জিয়ার বিমান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে বলে জানান শামসুদ্দীন দিদার জানান। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানের খোঁজ-খবর রাখাসহ তার পাশে থাকতে লন্ডন বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান খালেদা জিয়া। এ সময় তিনি দলের ঐক্যের ওপর জোর দেন।’
টেলি-কনফারেন্সে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আপনারা দোয়া চেয়েছেন। সবার জন্য দোয়া থাকবে। কিন্তু আমি আপনাদের সঙ্গে মিটিং করতে পারিনি। আপ্যায়ন করাতে চেয়েছেন, আমি অংশ নিতে পারিনি। আমি এসেছিলাম চিকিৎসার জন্য। গতকালও (মঙ্গলবার) ডাক্তারের কাছে গিয়েছি।’ বিএনপি প্রধান বলেন, ‘আপনারা যারা প্রবাসে আছেন, তারা দেশে ভোটার হতে পারবেন। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে হতে পারবেন।’
সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, ‘দলের ঐক্য বড় বিষয়। দলের মধ্যে মতবিরোধ থাকতেই পারে। মুরুব্বিদের সম্মান দিতে হবে। তরুণদের প্রাধান্য দিতে হবে। অবশ্যই সিনিয়রদেরও প্রয়োজন আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তরুণদের কাজে লাগাতে চেষ্টা করবেন। এখানে যারা ছাত্র আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তারা রাজনীতি না করলেও দেশে গিয়ে ভোট দেবে।’
বক্তব্যের শেষ দিকে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আল্লায় বাঁচিয়ে রাখলে, ভবিষ্যতে ইনশাল্লাহ আপনাদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করব। মিটিং করব। ভালোভাবে যেন দেশে পৌঁছাতে পারি, দোয়া করবেন। আপনাদের ভাইয়ার (তারেক রহমান) সঙ্গে যোগাযোগ করবেন, তার খেয়াল রাখবেন।’
লন্ডন মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক মাইনুল ইসলামের উদ্ধৃতি দিয়ে শাসদুদ্দীন দিদার জানান, খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘হিথ্রো বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ভিড়ের কারণে, নিরাপত্তার কারণে সেখানকার পুলিশ নেতাকর্মীদের বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে দেয়নি। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য টেলি-কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন খালেদা জিয়া।’
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকাত্যাগ করেছিলেন খালেদা জিয়া।