সংলাপে অংশ নিতে চায় জামায়াত, সিইসিকে চিঠি

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে দলটির প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক তাসনীম আলম জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম সিইসিকে পত্র দিয়েছেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত ইসি সচিবালয়ে অফিস করেছি। জামায়াতের কোনও চিঠি আমরা পাইনি। তারা ফলস কথা বলছে।’


তিনি আরও বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। এ কারণে তাদের  সংলাপে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।’
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষ দিকে নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছেও সংলাপে অংশগ্রহণ চেয়ে চিঠি দিয়েছিল জামায়াত। রাষ্ট্রপতির ওই সংলাপেও ডাক পায়নি দলটি।

সিইসিকে লেখা পত্রে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি উল্লেখ করেছেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত অংশগ্রহণ করেছে। অতীতের প্রত্যেক সংসদে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব ছিল। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ তথা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থী বিজয় লাভ করেছে। জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়েছে।অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনে জামায়াতের প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে এটা প্রতিষ্ঠিত যে, জামায়াত বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহৎ রাজনৈতিক দল। জামায়াত সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘জামায়াত একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জামায়াতের নিবন্ধন বিষয়ের মামলাটি বিচারাধীন আছে। স্বাভাবিকভাবেই জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশগ্রহণ করার অধিকার জামায়াতের রয়েছে।’

চিঠিতে বলা হয়, ‘দেশের একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত সংলাপকে অর্থবহ করে তোলার জন্য উক্ত সংলাপে জামায়াতে ইসলামীর অংশগ্রহণের সুযোগ থাকা বাঞ্ছনীয়।’

জামায়াতের প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক তাসনীম আলম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আশা করি, আগামী নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং যথাযথ প্রতিনিধিত্বের স্বার্থে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে সংলাপে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’ 

আরও পড়ুন: 

কেউ বিচারের ঊর্ধ্বে নয়