নির্বাচনি প্রচারণায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে জোর দেবে আ. লীগ

আওয়ামী লীগ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রচারণায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি জোর দেবে আওয়ামী লীগ। শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকালে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-পরিষদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্য সচিব ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ যে কোনও কিছু পত্রিকা বা টেলিভিশনে প্রকাশ করা ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এই পরিবর্তনটি ঘটেছে। দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে বিধায় এই পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। আমরা সেই  মাধ্যমকে আগামী নির্বাচনে কাজে লাগাতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করেছি। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করবে।’

জানা গেছে, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রচার-প্রচারণা চালানোর জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ, বিভিন্ন সেক্টরে বর্তমানে সরকারের সাফল্য, আগামী দিনে দেশের জন্য আওয়ামী লীগ  গৃহীত বিভিন্ন পরিকল্পনাগুলো প্রচার করবেন। এছাড়াও এ কমিটি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়কার ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরবে। পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার চিত্রও তুলে ধরবে।

‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে’ দলটির নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসবে এটা তো খুবই সুখবর। আমরা বিএনপির বক্তব্যকে স্বাগত জানাই। বিএনপির গত নির্বাচনে না আসাটা ভুল ছিল। এই বক্তব্যের মাধ্যমে সেটি স্বীকার করে নিয়েছে তারা। আমরা চাই, আগামী নির্বাচন সবার অংশগ্রহণে (ইনক্লুসিভ) হোক। বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হোক, সেটি আমরাও বলে আসছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ বলেছেন, নির্বাচনের আগে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিভিন্ন জেলা সফর করবেন এবং সেখানে গণজোয়ার সৃষ্টি হবে। আমরা দেখেছি, তিনি বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার নামে হামলার (কক্সবাজার যাওয়ার সময় ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা) সাজানো নাটক করলেন। অতীতেও রাজনীতির নামে তারা বিভিন্ন সহিংস কর্মসূচি পালন করেছে। অতীতের মতো আবারও যদি তারা সহিংসতা করে, তাহলে দেশের মানুষ এর জবাব দেবে।’

‘খালেদা জিয়াকে মামলা দিয়ে নির্বাচনের বাইরে রাখার চেষ্টা করছে সরকার’- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মামলাগুলো কোনোটাই বর্তমান সরকার দেয়নি। মামলাগুলো তিনি (খালেদা) যাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছিলেন,তাদের আমলেই  হয়েছে।’

খালেদা জিয়া আদালতে হেনস্তা হয়েছেন তার এমন অভিযোগের জবাবে  আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বেগম জিয়া বলেছেন- মামলা মোকাদ্দমার মাধ্যমে আদালতে তিনি হেনস্তা হচ্ছেন।  খালেদা জিয়া প্রকৃতপক্ষে আদালতকেই হেনস্তা করছেন। তিনি আদালতে তার মামলায় ১৪৪ বার সময় নিয়েছেন। বাংলাদেশে আর কোনও মামলায় ১৪৪ বার সময় দেওয়া হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। এই কারণেই আদালত হেনস্তার শিকার হচ্ছে।’

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য সম্পর্কে আগামী ৭ নভেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সেমিনার করবে আওয়ামী লীগ। সেমিনারে দেশের খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবীরা অংশ নেবেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আক্তার হোসেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিকী বিটুসহ উপ-কমিটির সদস্যরা।

আরও পড়ুন: 

২০০ আসনে চোখ আওয়ামী লীগের