বিএনপির সাংগঠনিক ত্রুটি খালেদা জিয়ার নজরে এনেছেন উপদেষ্টারা

খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকখালেদা জিয়ার সামনে দলের সাংগঠনিক ত্রুটির বিষয়টি তুলে ধরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টারা। দেশের বিভিন্ন এলাকায় কমিটি না থাকা, অসম্পূর্ণ কমিটি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর থেমে থাকা কমিটির কার্যক্রম বন্ধ থাকার বিষয়টি চেয়ারপারসনের নজরে এনেছেন তারা।

মঙ্গলবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে খালেদা জিয়ার সামনে এসব বিষয় উত্থাপন করেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টারা। এটি খালেদা জিয়ার সিরিজ বৈঠকের অংশ। এর আগে গত ১৮ অক্টোবর লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পর দলের স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান ও ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

মঙ্গলবারের বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয় বাংলা ট্রিবিউনের। তারা জানান, বৈঠকে প্রায় ১৫-২০ জন উপদেষ্টা আলোচনা করেছেন। তারা সাংগঠনিক দিক তুলে ধরার পাশাপাশি নির্বাচন নিয়েও নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেন। এতে আগামী নির্বাচন কোনও দলীয় সরকারের অধীনে হবে না এবং শেখ হাসিনার অধীনে কোনও নির্বাচনে যাওয়া যাবে না; এ বিষয়ে একমত হন উপদেষ্টারা।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ূম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বৈঠকে সাংগঠনিক দিক উপজীব্য করেই আলোচনা হয়েছে। এর বেশি বলতে পারবো না।’

বৈঠক সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া তার উপদেষ্টাদের দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন। যেখানে কমিটি নেই কিংবা স্থগিত আছে এমন এলাকাগুলোতে বেশি বেশি যাতায়াতের পরামর্শ দেন তিনি।

সূত্রের দাবি, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক নিবিড় করার নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া। গুলশানে তার কার্যালয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শেষ হয় রাত পৌনে ১২টার দিকে।

৭৬ সদস্যের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্যদের মধ্যে তিনজন যথাক্রমে হারুনার রশীদ মুন্নু, ফজলুর রহমান পটল ও আখতার হামিদ সিদ্দিকী মারা গেছেন।

বৈঠকে উপদেষ্টা কাউন্সিলের ৫৩ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তারা হচ্ছেন উকিল আব্দুস সাত্তার, লুৎফর রহমান খান আজাদ, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, আমানউল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আনহ আখতার হোসেন, মাজেদুল ইসলাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, জয়নাল আবেদিন ভিপি জয়নাল, মনিরুল হক চৌধুরী, মেজর (অ.) কামরুল ইসলাম, সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমি, এম এ কাইয়ুম, জহুরুল ইসলাম, ইসমাইল জবিউল্লাহ, আবদুর রশিদ, হায়দার আলী, জিয়াউর রহমান খান, তাজমেরী এস ইসলাম, শাহিদা রফিক, গোলাম আকবর খন্দকার, কাজী আসাদ, কবির মুরাদ, অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া, একরামুজ্জামান, ফজলুর রহমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, নজমুল হক নান্নু, তাহমিনা রুশদীর লুনা, এনামুল হক চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম, সুকোমল বড়ুয়া, বিজন কান্তি সরকার, আবদুল হক, তৈমুর আলম খন্দকার, কামরুল মুনির, বোরহান উদ্দিন, আবদুল বায়েছ ভুঁইয়া, আবদুস সালাম, শাহাজাদা মিয়া, এস এম ফজলুল হক, এম এ লতিফ, আবদুল কুদ্দুস, আবদুল মান্নান তালুকদার, ফরহাদ হালিম ডোনার, খন্দকার মুক্তাদির আহমেদ, মামুন আহমেদ, সৈয়দ শামসুল আলম, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।