‘সহায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হতে দেবে না জনগণ’

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আবদুল্লাহ আল নোমানআগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সহায়ক সরকার ছাড়া জনগণ হতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির দুই নেতা। শুক্রবার জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভাষণে সংবিধান অনুসারে আগামী নির্বাচনের কথা বলা হয়। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তারা এ মন্তব্য করেন।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির এই দুই নেতা প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধনের কথাও বলেন।

সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার টেলিভিশন ও বেতারে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ২০১৮ সালের শেষদিকে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কীভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে। সংবধিান অনুযায়ী নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। সেই সরকার সর্বোতভাবে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা দিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণকে বাইরে রেখে ক্ষমতা দখলের যে প্রক্রিয়ার কথা বলা হচ্ছে, তা বাংলাদেশের জনগণ হতে দেবে না।’

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ভাষ্য, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জনগণের মালিকানা হাইজ্যাক করেছে। মালিকানা ফিরিয়ে না দিলে বাংলাদেশে কোনও নির্বাচন হতে দেবে না জনগণ। মালিকানা ফিরিয়ে দিয়ে নির্বাচন করতে হবে।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘বাকশালের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আগেও সেই পথে চলেছে, এবারও তারা একই পথে চলছে, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আগে হতে দেয়নি।  এবারও হতে দেবে না। আগামী নির্বাচন সহায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার থাকতে হবে। তাছাড়া বাংলাদেশে আর কোনও নির্বাচন হবে না।  নির্বাচন কমিশন তো অবশ্যই তাদের দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সরকার থেকে বিচ্ছিন্ন নয় এবং সরকারের অনেক সিদ্ধান্তের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নির্ভর করে। কাজেই আমরা বলেছি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার ছাড়া কোনও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।’

সংবিধান কোনও ওহী নয় যে পরিবর্তন করা যাবে না বলে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য যা করার দরকার, করতে হবে। প্রয়োজন হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।’

তবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তাকে বাংলা ট্রিবিউনের পক্ষ থেকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে মহাসচিব কথা বলবেন, আমি কিছুই বলতে চাই না।’