‘আ. লীগের উপকমিটি নিয়ে কেউ বিক্ষোভ করেনি, আনন্দ মিছিল করেছিল’

ওবায়দুল কাদেরআওয়ামী লীগের উপকমিটি নিয়ে কেউ বিক্ষোভ করেনি, আনন্দ মিছিল করেছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা সত্য নয়। গতকাল কেউ বিক্ষোভ করেনি। সেখানে তারা আনন্দ মিছিল করেছিল। আওয়ামী লীগের উপকমিটি গঠন নিয়ে ফেসবুকে ‍কিছু সংবাদ দেখে কর্মীরা আমার কাছে জানতে এসেছিল। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া আমার কর্মীদের অধিকার। তারা জানতে চাইতেই পারে।’

রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেতাকর্মীরা যখন আমার কাছে জানতে এসেছিল আমি তখন দরজা বন্ধ করে ঘরের মধ্যে বসে থাকিনি। আমি ওযু করে নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। নামাজ শেষে দরজা খুলে দিয়েছি এবং কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। এটাকে কেউ কেউ ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের দরজা বন্ধ করে ঘরের মধ্যে বসে থাকার নেতা নয়। চার বছর জেল খেটেছি, ১১ বছর ধরে মন্ত্রীত্ব করছি। জীবনে অনেক পেয়েছি, এবার দেওয়ার পালা। দলের ভেতরে কোথায় কী ঘটে না ঘটে সে সংবাদ শোনার পর আমার কাছে জানতে চাওয়া আমার কর্মীদের অধিকার। সে অধিকার তাদের আছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ ঘটনার সময় আমি সেখানে কোনও সাংবাদিককে দেখিনি। সংবাদপত্রে যা ছাপা হয়েছে তা হয়তো লোকমুখে শুনে করেছে। মনে রাখতে হবে, উপকমিটি মানেই সহসম্পাদক নয়। এই মুহূর্তে উপকমিটিতে সবাই সদস্য। সহসম্পাদক করা হবে, তবে তার আগে নেতাকর্মীদের যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অনেক অনুপ্রবেশকারী দলে এসেছে। তাদের শনাক্ত করতে মাসখানেক সময় লাগবে। তবে প্রত্যেক উপকমিটিতে ৩-৫ জন সহসম্পাদক থাকবেন। সেটি যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোনোভাবে এখানে একজন সহসম্পাদক হলেই তিনি এলাকায় গিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে বিরোধে জড়ান। নানা ধরনের বিলবোর্ড, সাইনবোর্ডে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানানোর ছড়াছড়ি বয়ে যায়। এটি ঠেকাতেই এবার যাচাই বাছাই করে সহসম্পাদক করা হবে।’