হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় যুক্তরাজ্য বিএনপির দুঃখপ্রকাশ

হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে যুক্তরাজ্য বিএনপির বিবৃতিলন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় অবশেষে দুঃখপ্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য বিএনপি। হামলার ঘটনার চার দিন পর সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) লন্ডন সময় রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় সোমবার দিবাগত রাত ৩টা) যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদের সই করা এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
দলীয় প্যাডে লেখা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাইকমিশনের সামনে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শেষে গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দিতে যান যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতারা। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বিএনপির নেতাদের সঙ্গে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ দেখিয়ে স্মারকলিপি গ্রহণ করতে অপারগতা জানায়। এতে উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের এ ধরনের অসৌজন্যমূলক আচরণের খবর বাইরে অবস্থানরত ডেমোনেস্ট্রেশনে উপস্থিত ব্রিটিশ কমিউনিটি ও বিএনপির কর্মীরা জানতে পারলে তাদের মনে অসন্তোষ ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এরই এক পর্যায়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে, যা ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত এবং বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। দেশে ও প্রবাসে বিএনপি সবসময় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করার পক্ষে। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমরা বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি।’
এর আগে, বিভিন্ন ঘটনায় যুক্তরাজ্য বিএনপি লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছে এবং এসব কর্মসূচিতে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেও উল্লেখ করা হয় ওই বিবৃতিতে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ জানাতে বুধবার দুপুর ২টার দিকে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিতি হন লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে। সেখানে বিক্ষোভ পালনের পর বিকাল ৫টার দিকে তারা হাইকমিশনে স্মারকলিপি দিতে গেলে সেখানকার কর্মকর্তারা তা নিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে কিছু নেতাকর্মী ক্ষুব্ধ হয়ে হাইকমিশনে ভাঙচুর চালান। এসময় যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে আটক করে পুলিশ। পরে যুক্তরাজ্য বিএনপির আরও দুই নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।