ফেরত যাওয়ার সময় অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দস সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নানা রোগে আক্রান্ত। আমরা দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা দিয়ে আসছি। কারাবান্ধী থাকায় আমরা এডিশনাল আইজি প্রিজন ও আইজি প্রিজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার চেকআপের জন্য আবেদন করেছিলাম। আমাদের সবার পরিচয় নেওয়ার পর কারা মহাপরিদর্শক আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কারা কর্তৃপক্ষতে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষায় গুরুত্ব দিতে অনুরোধ করেছি। তারা আমাদের জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজন হলে তারা আমাদের জানাবেন।’
অন্য চিকিৎসকরা হলেন- অধ্যাপক ডা. সিরাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. সাহাব উদ্দিন, অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম সেলিম, ডা. মো. ফাওয়াজ হোসেন শুভ ও ডা. মনোয়ারুল কাদির বিটু।
তবে কারাগারের দায়িত্বশীল নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, ‘খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই সাত চিকিৎসকের কারা অভ্যন্তরে প্রবেশের সুযোগ নেই। কারণ, কারাগারে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা রয়েছেন, তারা নিয়মিত উনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। আর জেল বিধি অনুযায়ী সপ্তাহে একদিন স্বজনরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন। এরইমধ্যে স্বজনরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাই নিয়ম অনুযায়ী আর কারও তার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ নেই।’
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছর এবং বাকি আসামিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড কারাদণ্ড দেন আদালত।
আরও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে কারাফটকে সাত চিকিৎসক