বিএনপির স্মারকলিপিতে যা থাকছে

বিএনপিজিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা পাওয়া খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, এই বক্তব্যকে প্রাধান্য দিয়ে এবং তার মুক্তির দাবি জানিয়ে রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেবে বিএনপি।  দলীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শনিবার বিকালে  সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান,  রবিবার দুপুর ১২ টায় ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
স্মারকলিপিতে কী থাকছে? দলের একাধিক সূত্র জানায়,   খালেদা জিয়াকে দুই শতাব্দীর পুরনো, পরিত্যক্ত ও জনমানবহীন  ভবনে  রাখা হয়েছে।  তিনি সেখানে কী অবস্থায় আছেন, তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী কথা বলছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও মন্ত্রীরা।  সরকারের অমানবিক নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছেন  বিএনপি চেয়ারপারসন, তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।  তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মূলত স্মারকলিপিতে এসব বিষয় থাকবে। 
বিএনপির সূত্রের দাবি, স্মারকলিপির প্রথম অংশ থাকতে পারে—জাল নথির ওপর ভিত্তি করে সাজানো ও প্রতিহিংসামূলক বিচারে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করা হয়েছে।  এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।  জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা তসরুপের কোনও ঘটনাই ঘটেনি।  খালেদা জিয়ার কোথাও কোনও স্বাক্ষর নেই।   কোথাও তার সংশ্লিষ্টতাও ছিল না। 

বিএনপির সহদফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, স্মারকলিপির শেষ অংশে থাকবে—  খালেদা জিয়ার ওপর সব ধরনের হয়রানির   অবসান ও নিঃশর্ত মুক্তির জন্য প্রহর গুণছে দেশবাসী।   ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা ও মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার  নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের ওপর সব ধরনের নির্যাতনমূলক কর্মকাণ্ড থেকে সরকারকে বিরত থাকার জন্যও  জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আহ্বান জানানো হবে এই স্মারকলিপিতে বলে জানান তিনি।