শুধু তা-ই নয়, আওয়ামী লীগের দাবি খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে মানুষের মধ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। ক্ষমতাসীনদের দাবি, খালেদা জিয়ার কারাবাসে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যেও তেমন প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। বরং একটি মহলে সরকারের দৃঢ়তা প্রশংসিত হয়েছে। এ হিসেবে আওয়ামী লীগ মনে করে, খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডে ক্ষতি নয়, বরং কিছুটা লাভ হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, সাধারণ মানুষের মনেও এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে খালেদা জিয়া দুর্নীতি করেছেন, তাই আদালত শাস্তি দিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার সাজা ও আওয়ামী লীগের লাভ-ক্ষতি কী–এই প্রশ্নে দলটির কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায় মিলিয়ে অন্তত এক ডজন নেতার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাদের কথায় দলটির এ মনোভাব ধরা পড়ে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে আওয়ামী লীগের লাভ-ক্ষতি চিন্তার কোনও সুযোগ নেই। কারণ, এখানে অপরাধের শাস্তি হয়েছে। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আদালতে সাজা নিশ্চিত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখানে সরকারের কোনও হাত ছিল না। বিষয়টি রাজনৈতিকও নয়।’
সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘প্রচলিত আইনে বিচার হয়েছে এবং খালেদা জিয়া দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ফলে সরকারের বা আওয়ামী লীগের লাভ-ক্ষতির চিন্তা করার সুযোগ নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষতি নয়, বরং মনে করি সরকার আইনের শাসন নিশ্চিত করতে পেরেছে–এটা জনগণ বিশ্বাস করে। ফলে লাভই হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শাস্তি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়, ফলে লাভ-ক্ষতি কী হলো তা ভাবছে না আওয়ামী লীগ। জনগণের মতো আমরাও দেখছি খালেদা জিয়া অপরাধ করেছেন, তার সাজা হয়েছে।’
জানতে চাইলে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান ফারুক বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে দেশবাসীর কোনও আগ্রহই নেই। বিএনপির মধ্যেও কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। বিষয়টি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত। বিএনপির নেতাকর্মীরাও মনে করে অপরাধ করায় খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে।’
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মজনু বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে মানুষের মধ্যে কোনও ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া নেই। ভবিষ্যতে কী হবে জানি না। ফলে লাভ-ক্ষতির হিসাব আওয়ামী লীগের ভেতরে নেই।’
পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, ‘খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে পাবলিকের মাথাব্যথা নেই। বিষয়টি নিয়ে বিএনপিরও মাথাব্যথা নেই। ফলে লাভ-ক্ষতি কতটুকু–সে নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনাও নেই।’