৭ মার্চ সবচেয়ে বড় জনসভা করতে চাই: ওবায়দুল কাদের





ওবায়দুল কাদের
আগামী ৭ মার্চ বাংলাদেশের ৪২ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জনসভা করার টার্গেট নিয়ে আওয়ামী লীগ এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রবিবার (৪ মার্চ) বিকেলে ৭ মার্চের জনসভা সামনে রেখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এই উদ্যানে পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু সপরিবার নিহত হওয়ার পর থেকে এ সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জনসভা করতে উদ্যোগী হয়েছে আওয়ামী লীগ। গত বছর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়ার পর ঐতিহাসিক এ উদ্যানে এটিই হবে তাদের প্রথম জনসভা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতি পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের টার্গেট রয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জনসভা করার। এ পর্যন্ত আমাদের নেত্রী চারটি বিভাগীয় জনসভা করেছে। এই চার জনসভা বিশাল জনসভায় পরিণত হয়েছিল, যা নজিরবিহীন। আমরা আশা করি, গত চারটি জনসভার চাইতেও বিশাল রূপ নেবে আগামী ৭ মার্চের জনসভা।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। একদিকে বর্তমানের করণীয় এবং আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের যে দায়িত্ব, যে কাজ, সেটা তিনি স্মরণ করিয়ে দেবেন। বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন এবং অর্জনের প্রতি জনগণের আস্থা আছে কিনা, সেটাও তিনি এ জনসভার মাধ্যমে পরিমাপ করবেন। এর আগের চারটি জনসভা প্রমাণ করেছে, ইনশাল্লাহ, বাংলাদেশ আজ জেগেছে, অসাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে জনগণ ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশ আজ শেখ হাসিনার উন্নয়নে খুব খুশি। তার সততা তার পরিশ্রমী নেতৃত্ব, তার কর্মজীবন এবং দেশের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যার যে কমিটমেন্ট, এ কমিটমেন্টের রাজনীতি আজ তার সোনালী ফসল।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছেন আর তারই কন্যা শেখ হাসিনা অর্থনীতি মুক্তির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেই মুক্তি উন্নয়নের মহাসড়কে আজ আমরা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি। বাংলাদেশ ভবিষ্যত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে পরিকল্পনা, তিনি এ জনসভার মাধ্যমে জনগণের সামনে তুলে ধরবেন। যা হয়েছে তিনি তা বলবেন এবং ভবিষ্যতে যা করণীয় সেগুলোরও দিকনির্দেশনা দেবেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, একাত্তরের চেতনা, একুশের চেতনায় বাংলাদেশকে গড়তে পারি এবং সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, প্রগতির পক্ষের শক্তি যাতে বিজয়ী হয়, সেই লক্ষ্য সামনে রেখে ৭ মার্চ নবতর পথযাত্রা সূচনা করতে যাচ্ছি।’
জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব অপশক্তিকে প্রতিরোধ করতে চাই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাফর ইকবালের ওপর হামলা মানে মুক্তিযুদ্ধে শক্তির ওপর হামলা। এই হামলার নেপথ্যে যেই হোক না কেন, তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।