শাহবাগে কি আবার কেউ বসলো, জানতে চান প্রধানমন্ত্রী





শেখ হাসিনাকোটা সংস্কার ইস্যুতে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বর্তমান পরিস্থিতি দলের নেতাকর্মীদের কাছে জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবার আন্দোলনের নামে ওই এলাকায় কারো বসে পড়ার কোনও আয়োজন হচ্ছে কিনা, তা-ও জানতে চেয়েছেন তিনি। রবিবার (১৫ এপ্রিল) সরকারি সফরে দেশের বাইরে যাওয়ার আগমুহূর্তে গণভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে তিনি এসব তথ্য জানতে চান।
গণভবনে উপস্থিত একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে এ কথা জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, শাহবাগে কি আবার কেউ বসলো?’ পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার কোনও চক্রান্ত হচ্ছে কিনা, সে সম্পর্কে খোঁজখবর রাখতে নেতাদের প্রতি তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।
সরকারি সফরে সৌদি আরব ও যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগমুহূর্তে দলের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে সরকারি বাসভবন গণভবনে যান। তখন তিনি কোটা ইস্যুতে এখনকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। আট দিনের সরকারি সফর শেষে ২৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা।
রবিবার শাহবাগে কোটা ইস্যু নিয়ে কোনও জমায়েত না থাকলেও রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরির সুযোগ না দেওয়ার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ হয়েছে। ওই সমাবেশে সরকারের এক মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানের উপস্থিতিতে ওই সমাবেশ থেকে ছয় দফা দাবি পেশ করা হয়।
গণভবনে উপস্থিত নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি অবহিত করেন। এছাড়া খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরশন নির্বাচন নিয়ে নেতাদের খেয়াল রাখতে নির্দেশ দেন তিনি।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান খুলনা যাবেন, এ কথা জাননো হলে শেখ হাসিনা সেখানকার সিটি নির্বাচনের বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে বলেন। ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের কাছে সংগঠনের আসন্ন সম্মেলনের প্রস্তুতির খবরও জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। এসময় দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ শেখ হাসিনার সামনে পড়লে কোনও প্রসঙ্গ ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত। এখানে আপাতত তোমার জড়ানোর দরকার নাই।’