তিনি বলেন, গতকালই (রবিবার) বলেছিলাম, বিএনপি চেয়ারপারসন গুরুতর অসুস্থ। এখন তার শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হয়েছে। তার হাত-পা ও কোমরের ব্যথা আরও বেড়েছে।’
সোমবার (১৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টায় নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য যে আগের চেয়ে খারাপ— তা কীভাবে নিশ্চিত হলেন, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা কিছু দিন পর পর তার সঙ্গে দেখা করেন। তাদের মাধ্যমে আমরা তার অসুস্থতার কথা জানতে পেরেছি। এছাড়া, সব সময় তো সোর্স প্রকাশ করতে হয় না।’
খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে তার পছন্দ অনুযায়ী ইউনাইটেড হাসপাতালে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।
জরুরি ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার এমআরআইসহ উন্নত চিকিৎসার দরকার বলে উল্লেখ বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বারবার বলার পরেও কারাকর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে উপেক্ষা করছে। ক্ষমতাসীনদের দাপটে কারাকর্তৃপক্ষ তাদের মুঠোবন্দি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছ—সরকার দেশনেত্রীকে এক অবনতিশীল স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে ফেলে রাখার জন্যই কারাকর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে। বিষয়টি গভীর উদ্বেগের ও বন্দি নির্যাতনের শামিল।’
আগে পরিবারের সদস্যরা সাতদিন পরপর খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করলেও এখন ১০ দিন পর দেখা করার নির্দেশ হতে যাচ্ছে বলে দাবি করেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘এর উদ্দেশ্যই হচ্ছে তাকে মানসিকভাবে যন্ত্রণা দেওয়া। দেশনেত্রীর সুচিকিৎসা নিয়ে কারাকর্তৃপক্ষের টালবাহানা অত্যন্ত রহস্যজনক। সরকারের নির্দেশেই কারাকর্তৃপক্ষ বেগম জিয়ার প্রতি নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণ করছে।’
‘কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে বিএনপি নোংরা রাজনীতি করতে না পারায় হতাশায় ডুবছে। লন্ডন ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে, কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল সাহসী পদক্ষেপ।’ ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে পরাজিত হওয়ায় এখন আপনারা বেসামাল হয়ে পড়েছেন। দিশেহারা হয়ে প্রতিদিন আপনারা বকবক করছেন বেশরমের মতো।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, গোলাম আকবর খন্দকার, বিএনপির সহদফতর সম্পাদক মুনির।
আরও পড়ুন: