দুই সিটিতে ২০ দলীয় জোটের সমন্বয় কমিটি গঠিত





গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনখুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনের জন্য সমন্বয় কমিটি গঠন করে মাত্র আধা ঘণ্টায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের বৈঠক শেষ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে বৈঠকটি শুরু হয়ে সাড়ে ৮টায় শেষ হয়। গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত এ বৈঠক হয়েছে।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, জোটের বৈঠকে খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সমন্বয় করতে জোটের দুটি সমন্বয় কমিটি করা হয়েছে।
তিনি জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য মোস্তফা জামাল হায়দারকে আহ্বায়ক ও শাহাদাত হোসেন সেলিমকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। খুলনা সিটির নির্বাচনের জন্য ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে আহ্বায়ক ও মুঞ্জুর হোসেন ঈশাকে সদস্য সচিব মনোনিত করা হয়েছে।
বৈঠকে জোটের শরিক দলগুলোর নেতারা ছাড়াও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সিটি নির্বাচনের বাইরে অন্য কোনও বিষয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানান গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া।

বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী

জোটের বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। তবে জোটসূত্র জানায়, গাজীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াতের সানাউল্লাহর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসেছে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াত।

জোটের বৈঠক শেষে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, ‘জামায়াতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, স্থানীয়ভাবে বসে ঠিক করা হবে।’

জামায়াতের একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের পরেই গাজীপুর বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা বৈঠকে বসেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, মেয়র প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে কাউন্সিলর পদে কিছু ছাড় চাইতে পারে জামায়াত।

বিএনপি েজোটের শরিক একটি দলের মহাসচিব জানান, সম্ভবত জামায়াত গাজীপুর সিটিতে দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহারে সময় নিচ্ছে। এক্ষেত্রে তারা রাজশাহী বা সিলেট সিটিতে প্রার্থী দেওয়ার শর্ত দিতে পারে।

তিনি এ-ও বলেন, ‘তারা অন্তত একটি সিটিতে ভোট করতে আগ্রহী। আর এ কারণেই গাজীপুরকে দরকষাকষির জন্য রেখেছে। মনে হচ্ছে, গাজীপুরে সমাধান হতে পারে। তবে এখনও চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।

জানতে চাইলে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী গাজীপুর সিটি জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এস এম সানাউল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা এখনও মাঠে আছি। আজকেও গণসংযোগ করে এসেছি। দল যে সিদ্ধান্ত দেবে, সে সিদ্ধান্তই মেনে নেবো। আমি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবো না।’

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জামায়াতের ছয় জন কাউন্সিলর পদে প্রার্থিতা করবেন জানান এস এম সানাউল্লাহ। তিনি গাজীপুর মহানগর পরিষদ ব্যানারে নির্বাচন করছেন।