আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘যেদিন খালেদা জিয়া জেল থেকে বের হবেন, সেদিন গণতন্ত্র মুক্ত হবে। সেদিন আমরা নির্বাচন নিয়ে কথা বলবো। কিন্তু নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনও নির্বাচন হবে না।’
যেখানে আইনের শাসন নেই, সেখানে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না দাবি করে তিনি বলেন, ‘জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। প্রথমে আমাদের মূল লক্ষ্য খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। তার মুক্তিই বিএনপির একমাত্র সংগ্রাম। গণতন্ত্রের মাতা জেলে থাকতে নির্বাচনের আলাপ করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সুযোগ নাই। আইনের প্রতি সম্মান দিয়ে আইনি লড়াই চলছে। তবে দেশে আইনের শাসন নাই। জনগণকে বাইরে রেখে ক্ষমতায় যাওয়ার নীল নকশা দেশের মানুষ বাস্তবায়ন হতে দেবে না।’
লন্ডনের গণমাধ্যম সরকারের চরিত্র তুলে ধরলেও দেশের গণমাধ্যম তা পারছে না, এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সরকার বাধা দিলেও সে বাধা ভেঙে যাচ্ছে এবং তা বাড়তে থাকবে। শুধু কোটার সংগ্রাম নয়, আসলে এটা যুব ও ছাত্রসমাজের ক্ষোভের প্রকাশ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প করা হয়েছে। যুব ও ছাত্রসমাজের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশই কোটা সংস্কার আন্দোলন।’