শুক্রবার (১১ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আলোচনা সভায় নিজের মোবাইলের ক্যামেরায় ছবি তুললেন সহকর্মী রাজনৈতিক বন্ধুদের, দর্শকের আসনে বসে থাকা শ্রোতাদের। এ সময় নিজের স্বভাব অনুযায়ী মাঝে মাঝে হেসেও ওঠেন তিনি।
বক্তব্যে হাস্যরসের জন্য সাধারণত সুপরিচিত বি চৌধুরী। তবে শুক্রবার সন্ধ্যাটা ছিল একটু ভিন্ন। বাইরে বৈশাখের ঝড়ো হাওয়া আর বৃষ্টি, ভেতরে নিজের সবচেয়ে বেশি পরিচিত অঙ্গনের লোকদের ছবি তোলা। উপস্থিত রাজনৈতিক নেতা আর সভার দর্শকদের কাছেও বিষয়টি ছিল উপভোগ্য।
মেজর (অব.) মান্নানের পর মঞ্চে এলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক, চারদলীয় যুক্তফ্রন্টের মুখপাত্র মাহমুদুর রহমান মান্না। তখন আবার ছবি তুললেন বি চৌধুরী। এরপর আলোচনায় আসেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তারও ছবি তোলা শেষ করেন বি চৌধুরী। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পর জাসদ সভাপতি আ স ম রবের ছবি তোলেন বি চৌধুরী। একটু সময় নিয়ে সাধারণভাবে ও জুম করে রবের ছবি নেন প্রবীণ এই রাজনীতিক। এরই মধ্যে সভা প্রধানকে দেখে মঞ্চে ও মঞ্চের সামনের সারিতে ছবি তোলার হিড়িক পড়ে যায়।
একপর্যায়ে হো-হো করে হেসে ওঠে মাহমুদুর রহমান মান্নার বয়স সম্পর্কে বলেন, ‘কি আপনি তো চল্লিশে।’ নিজের সম্পর্কে বি চৌধুরী বলেন, ‘আমি তো এক পা দিয়াই রাখছি।’
জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ বি চৌধুরীর হাস্যরস নিয়ে রাজনৈতিক সমাজেও আলোচনা আছে। ঘরোয়াভাবে নিজের কণ্ঠে গানও শোনান বলে জানান বিকল্প ধারার একাধিক নেতা।
আলোচনা সভায় উপস্থিত বিকল্প ধারার সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘স্যার নিজের ভালোবাসা থেকেই সবার ছবি তুলেছেন। নিজের মোবাইলেই রাখছেন শখের ইতিহাস। সচরাচর সিনিয়র রাজনৈতিক নেতাদের এমন সাধারণ কাজে দেখা যায় না। স্যার আপাদমস্তক একজন হাসিখুশি মানুষ।’