সিইসি’র পদত্যাগ দাবি বিএনপির মামা বাড়ির আবদার: ওবায়দুল কাদের

 

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (ফাইল ফটো)প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পদত্যাগ দাবিকে বিএনপির মামা বাড়ির আবদার বলে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সিইসিসহ কমিশন তো সার্চ কমিটির মাধ্যমে হয়েছে। আর সেখানে বিএনপিরও অংশগ্রহণ ছিল। কাজেই এধরনের দাবি মামা বাড়ির আবদার ছাড়া আর কিছুই নয়।’



বুধবার (১৬ মে) বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
নির্বাচনে জিতলেই কেবল বিএনপি খুশি হতো, এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পর্যবেক্ষকরা বলছেন না, সাংবাদিকরা বলছেন না। এমনকি গণমাধ্যমে আমাদের যারা কট্টর সমালোচক, তারাও কিন্তু এই নির্বাচনকে মোটামুটি একটা ভালো নির্বাচন বলে প্রশংসা করছে। শুধু প্রশংসা করতে পারেনি বিএনপি। বিএনপিকে খুশি করতে হলে তাদেরকে জেতাতে হবে।’
খুলনা সিটির নির্বাচনি ফলাফল প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘কত পার্সেন্ট ভোট, এটা তো গেজেট হয়ে গেছে। এটা তো আমাদের বানানো বা সাজানো কোনও বিষয় নয়। আমি এককথায় বলি— খুলনায় জনগণের রায়কে যারা প্রত্যাখান করেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করবে।’ বিএনপি প্রার্থীর পাওয়া ভোটের সংখ্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তারপরও তো মানছে না। মানি না মানবো না। নির্বাচন যদি ফ্রি ফেয়ার না হতো, তাহলে কি এত ভোট বিএনপি পেতো? আপনারা সাংবাদিকরাও ছিলেন, কোথায় হস্তক্ষেপ হয়েছে? কোথায় কেন্দ্র দখল হয়েছে? কোথায় ভোট জালিয়াতি হয়েছে?’

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বুঝতে পারেনি, এখন জনগণ অনেক সচেতন। মিথ্যাচার, বিভ্রান্তি ও ভীতি সঞ্চার করে জনগণের মন জয় করা যায় না। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফলে তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। এতিমের টাকা আত্মসাতকারী, অর্থ পাচারকারী দুর্নীতিবাজ, লুটেরাদের দল বিএনপি-জামায়াত ক্রমাগত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তাদের জন্য আরও বড় পরাজয়ের পরিণতি অপেক্ষা করছে।’ বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, ‘যেকোনও মূল্যে জিততে হবে—এই ধরনের মানসিকতা এবং জিতলে আছি, হারলে নাই, এই ধরনের অপকৌশল থেকে বেরিয়ে আসুন। সত্যকে মেনে নিতে শিখুন।’

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।