শুধু আইনি লড়াইয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব না: মওদুদ

প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভায় মওদুদ আহমদবিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, ‘শুধু আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করা সম্ভব না। ঈদের পরে ব্যাপক কর্মসূচি দিতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হবে, দেশকে বাঁচাতে হবে। সে জন্যেই রাজপথে আন্দোলনে ছাড়া কোনও বিকল্প নাই।’

শুক্রবার (১৮ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে লক্ষ্মীপুর জেলা জাতীয়তাবাদী যুব ফোরামের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন তিনি।

মওদুদ বলেন, ‘কেন খালেদা জিয়া জামিন পেয়েই মুক্তি পাচ্ছেন না? উচ্চ আদালতে জামিন পেলেও নিম্ন আদালতে পাচ্ছেন না? কারণ, এই নিম্ন আদালত প্রশাসনের অধীনে চলে গেছে। অর্থাৎ সরকারের অধীনে। এই নিম্ন আদালত স্বাধীন নয়। কারণ, নিম্ন আদালতের বিচারকের পদোন্নতি থেকে সবকিছুর ক্ষমতা ছিল উচ্চ আদালতের হাতে। এখন তা চলে গেছে সরকারের কাছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এদেশে আইনের শাসন নেই, আছে দলীয় শাসন। বাংলাদেশের সব জেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৭৮ হাজার মামলা হয়েছে, আর ১১ লাখের ওপরে বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেটি হয়েছে সেটি হচ্ছে ন্যক্কারজনক নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে সব নেতাকর্মীকে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। এর আগে ৪/৫ শত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সব জায়গায় কারচুপি করা হয়েছে। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। সুতরাং এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে ফের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কিনা এই বিষয়ে ভেবে দেখবেন।’

দেলোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, বিএনপি সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।

আরও পড়ুন- খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারা আমাদের ব্যর্থতা: মির্জা ফখরুল