অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ আগামী নিশ্চিত বিজয়ের লক্ষ্যেই কাজ করছে। সেই চিন্তা থেকেই এবার ঈদে রাজধানীতে না থেকে নিজ নিজ এলাকার ভোটারদের মন জোগানোর চিন্তায় মনোনিবেশ করেছেন নেতারা।
প্রসঙ্গত, এবার ঢাকায় ঈদ করেননি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও। গত ১৪ জুন নিজ নির্বাচনি এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে চলে গেছেন তিনি।
জানা গেছে, প্রতিবারের মতো এবারও নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে ঈদ করছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুও। এরআগেও তিনি নিজ এলাকার ঝালকাঠির মানুষের সঙ্গে দেখাও করে এসেছেন। উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ঈদের সময় ছিলেন তার নির্বাচনি এলাকা ভোলায়।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ ঈদ করছেন তার নির্বাচনি এলাকা ফরিদপুরে। ইতোমধ্যে গত ১০ দিন তিনি এলাকায় অবস্থান করছেন।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ঈদ করছেন নিজ নির্বাচনি এলাকা ঢাকার মোহাম্মদপুরে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মণি নিজ এলাকা চাঁদপুরের মানুষের সঙ্গে ঈদ করছেন। এছাড়া আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমানও ঈদ করছেন তার নিজ এলাকা ফরিদপুরের মানুষের সঙ্গে।
সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন জয়পুরহাটের নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদ উদযাপন করছেন। নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে ঈদ করেছেন সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম। পাশাপাশি আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও ঈদ করছেন নিজ এলাকা চট্টগ্রামে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এবারের ঈদে আওয়ামী লীগ নেতারা ঢাকার চেয়ে নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘এ কারণেই গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানেও নেতাদের উপস্থিতি কম ছিল।’ অবশ্যই ঈদের পর দিন থেকে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।