এসব নেতা জানিয়েছেন, বিএনপিকে নিয়ে উল্লেখিত ইস্যুগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে। বিশেষ করে বিএনপি যে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন ভোটের আগে এটি নিয়ে ব্যাপক প্রচারে নামবে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা জানান, এছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশেও (আরপিও) বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনও বিধিবিধান পাওয়া যায় কী না তার চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। সেখানে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো কোনও সুযোগ থেকে থাকলে নিশ্চয়ই সে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিএনপিকে যে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে রায় দিয়েছে কানাডার ফেডারেল কোর্ট, এটা দেশের মানুষের জানা রয়েছে। দুর্নীতি,লুটপাট ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান দণ্ডিত। জনগণের মধ্য থেকে তাদের বর্জনের দাবি উঠতেই পারে।
তিনি বলেন, এগুলো ভাবলে নিশ্চয়ই বিএনপির বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে কিনা সেটি অবশ্যই প্রশ্ন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের কয়েকজন বিশিষ্ট আইনজীবী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাজাপ্রাপ্ত এবং দেশের ও আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের দল সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিযুক্ত। এ অবস্থায় এই সংগঠনের রাজনীতি করার অধিকার আইনত কতখানি আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনি কোনও বিধিনিষেধ থাকলে আমরা নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবো।
ওই আইনজীবীরা বলেন, কানাডার কোর্টে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে বিএনপি চিহ্নিত হয়েছে। এর ফলে বিএনপির বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী মামলাও করার চিন্তা করছে তারা।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর অপর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থেকে এত অপরাধের সঙ্গে জড়িয়েছে যে তাদের রাজনীতি করার অধিকার এখন রয়েছে কিনা তা নিয়ে নিশ্চয়ই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এদিকে নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র নিশ্চিত জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে আইনি উদ্যোগ নিতে আইনজীবীদের এখনও কোনও সিগন্যাল দেওয়া হয়নি। তবে আইনজীবীরা আইনি মারপ্যাঁচ রয়েছে কিনা তা স্বপ্রণোদিত হয়েই খোঁজার চেষ্টা করছেন। তারা কোনও হেতু খুঁজে পেলে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়কে তা অবহিত করে বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেবেন।