এর আগে রাত ১০টার দিকে জামায়াত নেতা মাওলানা আবদুল হালিম এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিএনপির গুলশান অফিসে ২০-দলীয় জোটের বৈঠকে আমি উপস্থিত ছিলাম। কতিপয় মিডিয়ায় প্রচারিত বিভ্রান্তিকর রিপোর্টে আমি বিস্ময় প্রকাশ করছি। সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে জামায়াতের অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের রয়েছেন। এতে বিভ্রান্তির কোনও অবকাশ নেই।’
এ বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বৈঠকে জামায়াতকে বলা হয়েছে, বাকি অন্য দলগুলোও বলেছে, ২০-দলীয় জোটের প্রার্থী থাকবে। আগেও এমন হয়েছে। একজন প্রার্থীই থাকবে। বৈঠকে জামায়াতের নেতা মাওলানা আবদুল হালিমও বলেছেন, আমি সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলাপ করি, আপনাদের মতামত বলি। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। আর সময় তো আছেই।’
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘যে ভাষা আমরা প্রেস কনফারেন্সে ব্যবহার করেছি, সে ভাষা তো তার সামনেই পড়েছি। শোনার পর একমত হওয়ার পরই পড়েছি। কাজেই এতে কোনও বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। সিলেটে আরিফ থাকবে না ইয়ে থাকবে, সেটা তো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জোটের শরিক দলগুলোর বাকি সবাই বলেছে, সিলেটে আরিফই মোর পুপলার। সেখানে তিনি আগেও মেয়র ছিলেন। তারাও বলেছেন, নেতাদের বুঝিয়ে দলের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করিয়ে নেন। খেলাফত মজলিসেরও তো মেয়র প্রার্থী আছে। তারাও তো কাউন্টার বক্তব্য দেয়নি।’
জোটের আরেক শরিক বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণিও বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যের ড্রাফট বৈঠকেই শোনানো হয়েছে।’
আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠেয় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। জামায়াতের প্রার্থী অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। বুধবার রাজধানীর গুলশানে জোটের একক প্রার্থী ঠিক করতে এ নিয়ে জামায়াতকে অনুরোধ করা হলেও দলটির নীতিনির্ধারকরা কিছু জানাননি। পরে বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে সিলেটে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের রয়েছেন।
বিএনপি