আপনারা খেলায় আসুন, গোল কয়টা খান সেটা দেখেন : হাছান মাহমুদ


বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন ড. হাছান মাহমুদ
বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন আপনারা খেলায় আসুন, গোল কয়টা খান সেটা দেখেন। রবিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।  
হাছান মাহমুদ বলেন,  বিএনপির সিনিয়র নেতা মওদুদ বলেছেন খালি মাঠে গোল দিতে দেওয়া হবে না। আমরাও খালি মাঠে গোল দিতে চাই না। আমরা খেলেই গোল দিতে চাই। আপনারা খেলায় আসুন, গোল কয়টা খান সেটা দেখেন। তবে তার একটি কথায় জনগণ উদ্বিগ্ন না হয়ে পারে না। তিনি তার দলের নেতাকর্মীদের আগামী নির্বাচনের জন্য মানসিক প্রস্তুতির পাশপাশি শারীরিক প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। নির্বাচনে তো কোনও মল্লযুদ্ধ হয় না। তাই নেতা-কর্মীদের শারীরিক প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়টি আমার কাছে বোধগম্য নয়। তাহলে কি আবার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি যে ধরনের হট্টগোল বাধানোর চেষ্টা করা হয়েছিল সেই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর জন্য শারীরিক প্রস্তুতি নিতে বলা হচ্ছে? এটাই মওদুদ আহমদের কাছে আমার প্রশ্ন।

শেখ হাসিনা যখন সাব জেলে ছিলেন তখন স্লো পয়জনিং করার চেষ্টা করা হয়েছিল এমন দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন,  আজকে কারাগারে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে কথা হচ্ছে। ২০০৭ সালে যখন শেখ হাসিনা সাবজেলে ছিলেন সেখানে তার কোনও সহকারী ছিল না, কথা বলার কেউ ছিল না। তাকে নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছিল। আমাদের নেত্রীকে শুধু কারাগারে দেওয়া হয়েছিল তা নয়, তাকে সুচিকিৎসাও দেওয়া হয়নি। এমনকি তাকে স্লো পয়জনিং করার চেষ্টা করা হয়েছিল। যে কারণে তার পুরো শরীরে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। আমরা দেখা করতে পারতাম না। আমরা প্রতিনিয়ত সাব জেলের সামনে গিয়ে অবস্থান করতাম। দুই একবার যখন হাসপাতালে নিয়ে গেছে তখন দেখা করার সুযোগ পেতাম। তাও কর্তৃপক্ষ দেখা করতে দেয়নি, নেত্রীর নজরে পরায় তিনি দেখা করার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ দেখা করতে দেয়। যখন তাকে আদালতে আনা হতো, তখন আমরা দেখা করার সুযোগ পেতাম, কথা বলার সুযোগ পেতাম।

বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনও কারাবন্দি নিজের পছন্দের গৃহপরিচারিকা সঙ্গে রাখার সুযোগ পায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন,  আজকে খালেদা জিয়া নিজের পছন্দের গৃহপরিচারিকা নিয়ে কারাগারে আছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনও কারাবন্দি কখনও একজন গৃহপরিচারিকা সঙ্গে রাখার সুযোগ পায়নি। তাকে প্রতিদিন একজন চিকিৎসক তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন, তার জন্য সার্বক্ষণিক একজন মহিলা নার্স নিয়োজিত আছেন। সার্বক্ষণিক একজন চিকিৎসক নিয়োজিত আছেন। প্রতি সপ্তাহে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার সুযোগ পান। খালেদা জিয়া নাকি অসুস্থ, উনি যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন না কেন? তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল তিনি যাননি। তিনি এক ইউনাইটেড ছাড়া কোথাও যাবেন না। তিনি যদি অসুস্থ হতেন তাহলে তো তার যে কোনও হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল । তার মানে অসুস্থতার কথা বলে দেশের মানুষের সহানুভূতি আদায় করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।