বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই ) দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে সংগীত, নৃত্য,আবৃত্তি ও অভিনয়ে জাতীয় শিশু শিল্পীদের প্রতিযোগিতা ‘শাপলাকুড়ি’র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জিয়া শিশু একাডেমি নামে একটি সংগঠন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জিয়া শিশু একাডেমি আজকে আমাকে একটি ভিন্ন জগতে নিয়ে এসেছে। যদিও এই জগতটি আমার শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের। আমি এই জগতেরই একজন মানুষ ছিলাম। আমার সামনে এখন বসে আছেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার ছটকু আহমেদ। সৌভাগ্য হয়েছিল আমার তার সঙ্গে নাট্যজগতে কাজ করার ঠাকুরগাঁওয়ে— যেখানে আমার জন্ম, সেখানে অনেক নাটকে একসঙ্গে কাজ করেছি। সেই জীবন ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই আজ এখানে এসে মনে হয়েছে আমি সেই ভিন্ন জগত থেকে উপস্থিত হয়েছি। আজকে এখানে শিশুরা যে পারফরম্যান্স রেখেছে, তা দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। জিয়া শিশু একাডেমি ‘শাপলাকুড়ি’ নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে কাজ করছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘উদীয়মান শিশুদের খুঁজে বের করে এনে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যাতে ভালো করতে পারে, সেই চেষ্টা তারা করছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ বাংলাদেশ। আমরা যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করতে রক্ত দিয়েছেন। এ দেশটাকে আমাদের সুন্দর করে গড়ে তোলার কথা। কিন্তু কী হচ্ছে? তারপরও শিশুদের জন্য বাসযোগ্য করতে আমাদের দায়িত্ব তাদের তৈরি করে তোলা।’ শিশুদের উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তোমরা উড়ে যাও, পাখা বন্ধ করো না। একদিন না একদিন তোমরা তীরে পৌঁছাবেই। নিশ্চয়ই আমরা হাস্যোজ্জ্বল শিশুদের দেখতে পাবো। একটা ভালো বাংলাদেশ দেখতে পাবো।’
সংগঠনের পরিচালক এম. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন—কণ্ঠশিল্পী খুরশীদ আলম, জিনাত ফারহানা, চলচ্চিত্রকার ছটকু আহমেদ, সোহানুর রহমান সোহান, অভিনেত্রী চাঁদনী, ইভান শাহরিয়ার শোভা প্রমুখ।