মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা ঐক্য গড়েছি বৃহত্তর স্বার্থে। এই দানব সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য এই ঐক্য করেছি। সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে একটা পশুশক্তি আমাদের বুকের ওপর চেপে বসেছে। এই ভয়াবহ সরকারকে সরানোর জন্যই এই জাতীয় ঐক্য। নির্বাচন দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বিষয়।’
বিএনপি ইচ্ছা পোষণ করলে সংলাপে বসা যেতে পারে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা বহুবার আলোচনার জন্য বলেছি এবং আহ্বান করেছি। আজকে আপনাদের মাধ্যমে আবারও আহ্বান করছি। আসেন আমরা কথা বলি। কোথায় বসবেন? কি করবেন? বলেন। আমরা সবসময় প্রস্তুত আছি।’ আলোচনার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে ফোন করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) ফোন করলে আমরা ফোন করবো।’
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারা নির্বাচনকে তামাশা ও চূড়ান্ত তামাশায় পরিণত করেছে। রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল এই তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে তারা জাতিকে বায়োস্কোপ দেখাচ্ছে।’ বর্তমান নির্বাচন কমিশন উচ্ছিষ্টভোগী দলে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি জানি আমার এ কথায় তারা মর্মাহত হবেন। গতকালও আমি তিন সিটির নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে বলেছেন, আমরা চেষ্টা করছি। তার কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলেছি, আপনাদের কাজ তো চেষ্টা করা নয়। চেষ্টা করার জন্য আপনাদের রাখা হয়নি। সাংবিধানিকভাবে আপনাদের যে কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে, তা প্রয়োগ করে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা আপনাদের দায়িত্ব।’
নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হয় সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করুন, না হয় দয়া করে পদত্যাগ করে জাতিকে রক্ষা করুন। যে নির্বাচন কমিশন একজন পুলিশের ওসি বা এসপিকে সরাতে পারে না তাদের জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করার কোনও যোগ্যতা নেই। এই কমিশনের জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করার কোনও যোগ্যতা নেই।’
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীর পদমর্যাদায় আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ছেলে সাদেক আব্দুল্লাহকে নির্বাচনে বিজয়ী করার জন্য মন্ত্রীর মর্যাদা প্রশাসনের ওপর ব্যবহার করছেন। বরিশালে বাইরে থেকে লোক এনে জড়ো করা হচ্ছে নির্বাচনের জন্য।’