স্বৈরাচারী শাসনের ৮টি বৈশিষ্ট্য জানালেন সোহেল তাজ

সোহেল তাজের ফেসবুক স্ট্যাটাসসাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ‘স্বৈরাচারী শাসন’ বিষয়ে এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি স্বৈরাচারী শাসনের আটটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন। মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই স্ট্যাটাসটি দেন তিনি। সোহেল তাজের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘বঙ্গবন্ধু এবং তাজউদ্দীন আহমদের হাতে গড়া সংগঠন আওয়ামী লীগ তার জন্ম লগ্ন থেকে গণমানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলন করেছে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে এই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। পরবর্তীতে একই ধারায় আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে।

ইদানীংকালে আমরা অনেকেই স্বৈরাচারী শাসন কি তা হয়তো ভুলে গিয়েছি। নতুন প্রজন্মের জন্য ছোট্ট করে নিম্নে কিছু নমুনা দিলাম, যাতে করে আমরা ভবিষ্যতে স্বৈরাচার কি তা চিহ্নিত করতে পারি।

স্বৈরাচারী শাসন চেকলিস্ট:

১. যখন সাধারণ মানুষ তার মুক্তচিন্তা ব্যক্ত করতে ভয় পায়।

২. যখন দল, সরকার এবং রাষ্ট্র একাকার হয়ে যায় আর সরকারকে সমালোচনা করলে সেটাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলে আখ্যায়িত করা হয়।

৩. যখন দেশের প্রচলিত নানা আইন এবং নতুন নতুন আইন সৃষ্টি/তৈরি করে তার অপব্যবহার করে রিমান্ডে নেয়া এবং নির্যাতন করা হয়

৪. বিনা বিচারে হত্যা ও গুম করে ফেলা হয়।

৫. রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ব্যবহার করা হয়।

৬. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থাকে পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

৭. যখন সাধারণ নাগরিকসহ সকলের কথাবার্তা, ফোন আলাপ, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট মনিটর ও রেকর্ড করা হয়।

৮. যখন এই সমস্ত বিষয় রিপোর্ট না করার জন্য সংবাদমাধ্যম, সাংবাদিকদের গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে হুমকি দেয়া হয়।’

সোহেল তাজের এডিট করা স্ট্যাটাসপরবর্তিতে তিনি তার এই স্ট্যাটাসটি কিছুটা পরিবর্তন করেন। পরিবর্তিত স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছন-
‘বঙ্গবন্ধু এবং তাজউদ্দীন আহমদ এর হাতে গড়া সংগঠন আওয়ামী লীগ তার জন্ম লগ্ন থেকে গণমানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলন করেছে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে এই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। পরবর্তীতে একই ধারায় আওয়ামীলীগ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছে।

ইদানিং কালে আমরা অনেকেই স্বৈরাচারী শাসন কি তা হয়তো ভুলে গিয়েঠি। নতুন প্রজন্মের জন্য ছোট্ট করে নিম্নে কিছু নমুনা দিলাম যাতে করে আমরা ভবিষ্যতে স্বৈরাচার কি তা চিহ্নিত করতে পারি। এর প্রায় সবই ৪ দলীয় জোট সরকারের শাসনামলে আমার বেক্তিগত পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতা থেকে।

স্বৈরাচারী শাসন চেকলিস্ট:

১. যখন সাধারণ মানুষ তার মুক্ত চিন্তা ব্যাক্ত করতে ভয় পায়।

২. যখন দল, সরকার এবং রাষ্ট্র একাকার হয়ে যায় আর সরকার কে সমালোচনা করলে সেটাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলে আখ্যায়িত করা হয়

৩. যখন দেশের প্রচলিত নানা আইন এবং নতুন নতুন আইন সৃষ্টি/তৈরি করে তার অপব্যবহার করে রিমান্ডে নেয়া এবং নির্যাতন করা হয়

৪. বিনা বিচারে হত্যা ও গুম করে ফেলা হয়।

৫. রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সমূহ কে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ব্যবহার করা হয়

৬. আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী পুলিশ সহ অন্যন্য সংস্থাকে পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়

৭. যখন সাধারণ নাগরিক সহ সকলের কথা বার্তা, ফোন আলাপ, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট মনিটর ও রেকর্ড করা হয়

৮. যখন এই সমস্ত বিষয় রিপোর্ট না করার জন্য সংবাদমাধ্যম, সাংবাদিকদের গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে হুমকি দেয়া হয়।’