সূত্র জানায়, বৈঠকে জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, জাসদ সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া ও কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান নির্বাচনের আগে আরও আন্দোলনের আশঙ্কা করেন। গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন কাঠামো, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তারা বলেন, ‘গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতনের দাবি নিয়ে সরকারকে নির্লিপ্ত মনে হচ্ছে। সরকারের প্রতিশ্রুতিতে এমপিওভুক্তি ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা ঘরে ফিরে গেলেও তারা আউটপুট না পেলে আবারও রাজপথে নামতে পারে। আর সুযোগসন্ধানীরা এসব ইস্যু কাজে লাগাতে পারে। নির্বাচনের আগে সরকারকে এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কেবল প্রশাসনিকভাবে না করে এসব বিষয় রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
বৈঠকের সভাপতি ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বৈঠকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইন নিয়ে শরিকরা কিছু অস্পষ্টতার কথা বলেছে।’
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন, শিক্ষকদের এমপিওসহ বার্নিং ইস্যু দ্রুত সমাধান করার জন্য সরকারকে প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৈঠকের পরে ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সড়কে আর নৈরাজ্য সহ্য করা হবে না ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। বিআরটিএ'র অবহেলা আর দেখতে চায় না জাতি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে নাসিম বলেন, ‘লাইসেন্স আর ফিটনেস ছাড়া কোনও গাড়ি যেন সড়কে চলতে না পারে, ট্রাফিক পুলিশকে সেই নির্দেশ দিতে হবে।’ মন্ত্রী এমপি যে-ই হোক, গাড়ির কাগজ না থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন নাসিম। তিনি বলেন, ‘বাস মালিক শ্রমিকদের প্রয়োজনে জেলে ঢোকাতে হবে।’
আনিসুর রহমান মল্লিকের সভাপতিত্বে বৈঠকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ অংশ নেন।