একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বাইরে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক ঐক্যে যৌথ নেতৃত্ব চান খ্যাতনামা আইনজীবী ড.কামাল হোসেন। বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য ঐক্য কার নেতৃত্বে হবে, এমন প্রশ্ন আর সংশয়ের মধ্যে ড. কামাল হোসেন নিজের অবস্থান ব্যক্ত করলেন। তার ভাষ্য—এক দল নয়, এক ব্যক্তিও নয়, যৌথ নেতৃত্বে সম্ভাব্য বৃহৎ রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা পাবে।
ড. কামাল হোসেনের মতো ঐক্যে আগ্রহী সমমনা সব নেতাই আশাবাদ ব্যক্ত করছেন—একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্য হবে। তবে সম্ভাব্য এই ঐক্যে বিকল্প ধারার একিএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও কামাল হোসেনকে কেন্দ্র করে তৈরি জটিলতায় ঐক্যের আলোচনাও থমকে আছে। প্রচারণা রয়েছে, ড. কামাল হোসেন সম্ভাব্য জোটের নেতৃত্বে নিজেকে দেখতে চান। এমনকি আসন্ন নির্বাচনে জোট বিজয়ী হলে প্রধানমন্ত্রীর পদেও বসতে চান এই খ্যাতনামা আইনজীবী।
বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে এ বিষয়েও কথা বলেন ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘জোটের প্রধানের কথা বলে তো বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়। বরং আমরা যারা থাকবো এই প্রক্রিয়ায় সবাই মিলে একটা যৌথ নেতৃত্বে একটি ঐক্য প্রতিষ্ঠা হবে। কোনও এক ব্যক্তি বা এক দলের নেতৃত্ব নয়। যারা থাকবে সবাই মিলে ঐক্যের নেতৃত্বে থাকবেন। এভাবেই ঐক্য এগিয়ে নিতে হবে।’
ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হতে চাই, এ ধরনের কোনও কথা বলা ঠিক না। আমার ৮০ বছর বয়স হয়েছে। এখন এসে এসব কথা বলার কোনও মানে হয় না। আমি বিন্দুমাত্র এর মধ্যে নেই। আমি চাই সুষ্ঠু রাজনীতির বিকাশ হবে। আমি আগ্রহভরে দেখতে চাই, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সুন্দর রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিকাশ। এটা আমি তাদেরকেও (যারা ঐক্য নিয়ে কথা বলেছেন) বলেছি, আপনারা এসব কথা বলবেন না।’
উল্লেখ্য, গত ১১ মে ‘সমঝোতাপত্রে’ সই করে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলেন অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাক্ষাৎ করেন কামাল হোসেনের সঙ্গে। বিএনপি নেতারা ওই সাক্ষাৎকে ঐক্যের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বললেও ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘তাদের সঙ্গে ঐক্য নিয়ে কোনও আলাপ হয়নি। বিএনপি চেয়ারপারসনের মামলার বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে তারা এসেছিলেন।’