আমাদের আন্দোলন স্বাধীনতাবিরোধী ও ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে: বি. চৌধুরী





received_261055081184555

যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের আন্দোলন স্বাধীনতাবিরোধী ও ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে। যারা গণতন্ত্র চান, সুন্দর ও স্বৈরশাসনমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চান আমরা তাদের পক্ষে আছি, সঙ্গে আছি।’ শনিবার (৮ আগস্ট) রাতে রাজধানীর গুলশানে অল কমিউনিটি ক্লাবে অনুষ্ঠিত বিকল্পধারার সহযোগী সংগঠন প্রজন্ম বাংলাদেশ-এর ‘প্ল্যান-বি পজিটিভ’ শীর্ষক আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বি চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে একদলীয় শাসন দেখেছি, গণতন্ত্রের নামে দলীয় শাসন দেখেছি এবং স্বৈরশাসন দেখেছি। কিন্তু প্রকৃত অর্থে জনগণের শাসন এখনও দেখিনি। এই স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত হয়ে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য।’ এ লক্ষ্য সামনে রেখেই জাতীয় ঐক্য গঠনের প্রক্রিয়া চলছে এবং ঐক্যের মাধ্যমেই জনগণের বিজয় অর্জিত হবে বলেও আশা করেন তিনি।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছেন মন্তব্য করে বি. চৌধুরী বলেন, ‘এই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন। যারা দেশপ্রেমিক ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী তাদের সঙ্গেই আমরা আছি। দেশের আজকে আইনের শাসন নেই, বিচার নেই। মানুষের মৌলিক অধিকার নেই। ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ সব গণমাধ্যম সরকার নিয়ন্ত্রিত। এসব থেকে মুক্ত হতে হলে আমাদের ভারসাম্যের রাজনীতির প্রয়োজন।’
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনতে হবে বলে মত দিয়ে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন দল থেকে স্পিকার নির্বাচিত হলে ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হতে হবে বিরোধী দল থেকে। এভাবেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও দেশের রাজনীতিতে ভারসাম্য আনতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ একত্রিত হলে অসম্ভবের কিছুই নেই। আমরা আশা করি, খুব শিগগিরই সেই গণঐক্যের মাধ্যমে স্বৈরশাহী বিদায় নেবে।’
যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই। যেখানে ‘সন্ত্রাস’ শব্দটির স্থলে ‘শান্তি’ শব্দটি প্রতিস্থাপিত হবে। দুর্নীতি হবে ইতিহাসের অংশ। দারিদ্র প্রতিস্থাপিত হবে প্রাচুর্যে। ভোটাধিকার একটি নিত্যনৈমিত্তিক স্বাভাবিক অধিকারে পরিণত হবে। মানুষ হাসতে হাসতে ভোট দিতে যাবে। এর সবই সম্ভব গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন অবিচ্ছেদ্যভাবে হাতে হাত ধরে চলবে।’
আ.স.ম. আবদুর রব বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন ক্ষমতাসীন সরকার ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে। এর বাইরে যুক্তফ্রন্ট যে সাত দফা প্রস্তাব দিয়েছে, যারাই এসব প্রস্তাব মেনে নিয়ে এগিয়ে আসবেন তাদেরই আমরা স্বাগত জানাবো।’
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বাংলাদেশের চরম সংকটকালেও এই তরুণদের দেখে আজ আমরা শতভাগ আশাবাদী। কিছুদিন আগেও আমরা এই তরুণ-যুবকদের অথর্ব ও স্বার্থপর ভেবেছিলাম। কারণ, দেশ ও দেশের রাজনীতি নিয়ে এদের কোনও মাথাব্যথা ছিল না। কিন্তু সেই তরুণ-যুবক ও শিশু-কিশোররা এবার কোটা ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মাধ্যমে যা দেখিয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।’
প্রজন্ম বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক মাহী বি. চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন ও বিকল্পধারার ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।