শুক্রবার ধানমন্ডিতে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজের ১০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে বাংলাদেশের সামগ্রিক বিষয় অবহিত করতে বিএনপি ওয়াশিংটনে একটি লবিস্ট ফার্ম ভাড়া করেছে বলে বৃহস্পতিবার রাজনীতিবিষয়ক ম্যাগাজিন ‘পলিটিকো’ এ খবর প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সব আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপির কয়েকজন নেতা এখন অভিযোগ করতে জাতিসংঘে গেছেন। এতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। তারা লবিং করতে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, এটা নিয়ে আমাদের কোনও মন্তব্য নেই। তবে প্রশ্ন হলো এত টাকা তারা কোথা থেকে পায়? ওয়াশিংটনে দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লবিংয়ের জন্য বিএনপি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। একবারে ২০ হাজার ডলার, আবার প্রতি মাসে ৩৫ হাজার ডলারের বিনিময়ে লবিস্ট নিয়োগ করেছে বিএনপি। এটা কি তারা পারেন? এটার কি কোনও প্রয়োজন আছে?
বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে বিএনপি লবিং করবে অভিযোগ তুলে কাদের বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ‘আমাদের ভিত এবং আমাদের শেকড় দুর্বল নয়। আমাদের শেকড় বাংলাদেশের মাটির অনেক গভীরে। আমাদের চাপ দিতে পারে বাংলাদেশের জনগণ। আমরা অন্য কারও চাপের কাছে নতিস্বীকার করবো না।’
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘বাংলাদেশ কি পাকিস্তান? বাংলাদেশ কি আফগানিস্তান? বাংলাদেশ কি সুদান বা দক্ষিণ সুদান, বাংলাদেশ কি সোমালিয়া, বাংলাদেশ কি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাক বা ইরান? বাংলাদেশের সমস্যা আমরা এখানেই সমাধান করবো।’