বিএনপি এখন নেতা ভাড়া করছে: হাছান মাহমুদ

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি এখন নেতা ভাড়া করছে। ড. কামাল হোসেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ বিভিন্ন দলের সমন্বয়ে গঠিত ঐক্য- জনগণের কোনও ঐক্য নয়, এটা রাজনীতিতে পরিত্যক্ত নেতাদের ঐক্য।’
সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত 'জাতীয় ঐক্যের নামে নির্বাচন নিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে এটি জাতীয় ঐক্য নয়। মুমূর্ষু বিএনপিকে রক্ষা করার জন্য তারা ড. কামাল হোসেন এবং বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ অনেক নেতাকে ভাড়া করেছে। সুতরাং বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক কার্যক্রমে বোঝা যাচ্ছে, বিএনপি এখন ভাড়া করা নেতাদের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে। আর ড. কামাল হোসেন ও বদরুদ্দোজা চৌধুরীরা ভাড়ায় খাটবেন।’
তিনি বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন জনবিচ্ছিন্ন, রাজনীতিতে পরিত্যক্ত। তিনি গণতন্ত্রের কথা বলেন কিন্তু তার নিজের দলেই কোনও গণতন্ত্র নাই। গণফোরামের সম্মেলন কবে হয়েছে তাও তিনি বলতে পারবেন না। ১৮ বছর যাবত তিনি সম্মেলন ছাড়াই সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। আর বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দলেরও কখন সম্মেলন হয়েছে তা হয়তো তারও মনে নাই। প্রকৃতপক্ষে এই জোট হচ্ছে জনবিচ্ছিন্ন, ব্যক্তিসর্বস্ব, নামসর্বস্ব এবং রাজনীতিতে পরিত্যক্তদের একটি জোট, যাদের সঙ্গে জনগণের কোনও সম্পৃক্ততা নাই।’
নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভারত, ইংল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো বাংলাদেশেও নির্বাচনকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দ্বায়িত্ব পালন করবে এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নানা ধরনের ঐক্য করে কোনও লাভ হবে না। সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না। আর ২০১৪ সালের চেয়ে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে এখন অনেক বেশি শক্তিশালী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাও এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। সুতরাং আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিয়ে কোনও লাভ হবে না। নিজেরাই পড়ে যাবেন।’
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ও ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কায়সার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, কুয়েত আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সাদেক হোসেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত আওয়ামী লীগের সভাপতি আল মামুন সরকার, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল প্রমুখ।