খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা দেখে স্বজনরা ব্যথিত: রিজভী





রুহুল কবীর রিজভী (ফাইল ছবি)বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার পরিবারের লোকেরা দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা দেখে স্বজনরা ব্যথিত হয়েছেন। তাকে চিকিৎসাহীন অবস্থায় রাখা হয়েছে। বাম হাত-পা, হাতের আঙুল নড়াচড়া করতে তার কষ্ট হচ্ছে। ফিজিওথেরাপিও একরকম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’

বুধবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ফিজিওথেরাপিস্টের ব্যবস্থা করা হয়নি। তাকে গভীর স্বাস্থ্য সংকটের মধ্যে রাখাটাই যেন সরকার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এজন্যই তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রাখা হচ্ছে।’
রাষ্ট্রযন্ত্র কব্জা করে ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনকে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ রিজভীর। তিনি বলেন, ‘এটা আইনি লেবাসে প্রতিহিংসা পূরণের নমুনা। আমি আবারও বেগম জিয়ার পছন্দ অনুযায়ী ইউনাইটেড হাসপাতালে ত্বরিত চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।’
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা চলাকালে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দার ফুলসুতি ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান মাতুব্বর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করায় খালেদা জিয়া গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলেও জানান রিজভী।
রিজভী আরও বলেন, ‘এইচ টি ইমাম নামে প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা আছেন, যিনি সরকারের গোপন পরিকল্পনা মাঝে মাঝে প্রকাশ করে দেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করলে তিনি কীভাবে বাছাই করা প্রশাসনের লোকদের দিয়ে ভোটকেন্দ্রগুলো নিজেদের আয়ত্তে রাখতেন, সেটিও পরবর্তীতে প্রকাশ করেছেন। এখন তিনি (এইচ টি ইমাম) বলছেন, আওয়ামী লীগের ভোট নাকি ৪২ শতাংশ, আর বিএনপির নাকি ৩০ শতাংশ। এসব উদ্ভট পরিসংখ্যান এইচ টি ইমামের নিজস্ব নাকি তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টার, তা জাতির জানার আগ্রহ আছে। কারণ, এহেন অলৌকিক পরিসংখ্যান তার মাথা থেকে আসাটা যৌক্তিক এই কারণে যে খন্দকার মোশতাকের সহযোগী হিসেবে কাজ করার জন্য বিব্রতকর অবস্থা কাটাতে, এখন প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতে মোসাহেবদের ম্যারাথন দৌড়ে এগিয়ে থাকতে চান।’
রিজভী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পুলিশের কাছে নাকি তথ্য আছে বিএনপি আন্দোলনের নামে নাশকতার ছক আঁকছে। সেজন্যই হাতিরঝিল থানায় বিএনপি মহাসচিবসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের নামে মামলা হয়েছে। আমি তাকে বলতে চাই, আপনাদের মতো আপনাদের পুলিশরাও এখন গায়েবি তথ্য উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। আপনাদের পুলিশ এমনই যে ওই মামলায় বর্ণিত ভাঙচুর হওয়া গাড়ির নম্বরও জানে না। এছাড়া, সম্প্রতি দু’বছর আগে মারা যাওয়া বিএনপি নেতার নামেও মামলা দেওয়া হয়েছে।