জোটের রূপরেখা নির্ধারণ হবে কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে: ওবায়দুল কাদের

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ওবায়দুল কাদের (ফাইল ছবি/ফোকাস বাংলা)প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে ফিরলে কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে জোটের রূপরেখা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে প্রতিদিনই কেউ না কেউ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি জোটে যোগ দেওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কাকে জোটে নেবো, কাকে নেবো না। বাস্তব পরিস্থিতিতে মেরুকরণের ওপর নির্ভর করবে আওয়ামী লীগ জোটের পরিধি বাড়াবে কি বাড়াবে না, জোটবদ্ধ নির্বাচন করবে, কি করবে না।’

এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, ‘বিকল্পধারা বা যুক্তফ্রন্ট কিংবা এলডিপি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জোটে যোগ দেওয়ার আগ্রহ দেখায়নি। তবে, জাকের পার্টি দেখা করেছে। সাত দলীয় একটি বাম জোট আবেদন করেছে। ইসলামি ফ্রন্ট যোগ দিতে চায়। প্রতিদিনই কেউ না কেউ আগ্রহ দেখচ্ছে।’

ঐক্যফ্রন্টের কর্মকাণ্ড নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে এলায়েন্সের কাফেলা এগিয়ে চলছে। জোট ভাঙছে, গড়ছে। শেষ পর্যন্ত মেরুকরণ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তার ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনের সমীকরণ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি যদি মনে করে তারা ২০০১-এর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে, তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। আমাদের আত্মবিশ্বাসের উৎস জনগণ। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। যারা মাঠে নেমেছে তাদের অধিকাংশ জনবিচ্ছিন্ন। জনবিচ্ছিন্নদের ঐক্যে দেশের মানুষের কিছু আসে যায় না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হত্যার ৪৩ বছর পরও শেখ রাসেলের আবেদন ফুরিয়ে যায়নি। তার জন্মদিনের শপথ হবে হত্যা, খুন ও সন্ত্রাসের রাজনীতি এই বাংলাদেশে চিরতরে বন্ধ করতে হবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল মতিন খসরু, দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ. শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আক্তারুজ্জামান, এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ। বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর ১৫ আগস্ট রাতে শহীদ হওয়া সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।