বিকল্পধারার নামে দল গঠন হাস্যকর: মাহী বি. চৌধুরী

মাহী বি. চৌধুরী

বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাহী বি. চৌধুরী বলেছেন, যারা বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট ও মহাসচিবকে বহিষ্কার করেছেন— তারা বহিষ্কৃত হয়েছেন একমাস আগেই। এরা বিকল্পধারার কেউ নন। সুতরাং, বিকল্পধারার নামে দল গঠন ঘৃণিত ও হাস্যকর।

মাহী বি. চৌধুরী শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বি. চৌধুরীর বারিধারার বাসভবন মায়া-বি-তে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘এর পেছনে একটি বড় রাজনৈতিক দলের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। কারণ, বিকল্পধারার বহিষ্কৃত নেতা শাহ আহাম্মেদ বাদল বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর একজন কর্মচারী। সেখান থেকে হয়ে থাকলে এটা খুবই দুঃখজনক।’

তিনি খবরের গুরুত্ব অনুসারে সত্যতা নিশ্চিত হয়ে সঠিক সংবাদ প্রকাশের জন্য গণমাধমের প্রতি অনুরোধ জানান।

মাহী বলেন, ‘আমরা বিএনপিকে আগেই বলেছি, স্বাধীনতাবিরোধীদের ছাড়লে এবং ভারসাম্যের রাজনীতি মেনে নিলে তাদের সঙ্গে ঐক্য করতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। এখনও বিএনপির ৭০/৮০ ভাগ মানুষ স্বাধীনতাবিরোদীদের সঙ্গে ঐক্যের বিরোধী। আমরা জাতীয়তাবাদী শক্তির বৃহৎ ঐক্য চাই। এই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ন্যাপ এবং এনডিপি যুক্তফ্রন্টে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। আরও অনেক দল এবং বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।’

মাহী বি. চৌধুরী বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে জোট করেছে। সেসময় থেকে বিএনপিতে ভাঙনের সূত্রপাত। বি চৌধুরী সাত মাস প্রেসিডেন্ট থাকার পর পদত্যাগ করেন। ২০০৪ সালে সংসদ সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেন মেজর মান্নান ও মাহী বি. চৌধুরী। তারপর কর্নেল অলির নেতৃত্বে মন্ত্রী, এমপিসহ আরও পদত্যাগ করেন ৩০/৩৫ জন। এরপর বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব মান্নান ভূইয়ার নেতৃত্বে বিএনপিতে আরেক দফা ভাঙনই হয় স্বাধীনতাবিরোধীদের জোটে নেওয়ার কারণে।'

প্রেস ব্রিফিং-এ উপস্থিত ছিলেন— বিকল্পধারার সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ ইউসুফ, যুগ্ম মহাসচিব আবদুর রউফ মান্নান, সহ-সভাপতি মাহবুব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।