সোমবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরামের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কামাল হোসেন বলেন, ‘যারা ক্রমাগত আমার বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ, ভিত্তিহীন ব্যক্তিগত আক্রমণ করে চলছেন, তাদের আমি এ বিষয়ে স্পষ্ট করে দিতে চাই, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া বা কোনও রাষ্ট্রীয় পদ পাওয়ার কোনও ইচ্ছা আমার নেই। একটি গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ ও বহুমাত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আমি কাজ করে যাবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে আমাদের একটা ঐক্য হয়েছে কয়েকটি পার্টি মিলে, এটা শুধু নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করার স্বার্থেই হয়েছে। আমাদের পার্টির মাধ্যমে যে ব্যবস্থা হয়েছে তা অন্য কোনও ব্যাপারে না। শুধু ইলেকশনকে অবাধ-নিরপেক্ষ করার ব্যাপারে আমরা সবাই একে অপরকে সহযোগিতা করবো। এটা কোনও ইলেকশন এলায়েন্স অথবা ইলেকশন করার ব্যাপারে না। আমি জানি যে এ রকম প্রশ্ন আপনাদের মাথায় আসতে পারে, এজন্য ক্লিয়ার করছি।’
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য আমরা সবাই মিলে দায়িত্ব পালন করবো বলে জানান এ সংবিধান বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, ‘পত্রপত্রিকায় আসছে যে, আমরা নাকি জামায়াতের সঙ্গে জোট করছি, না এ রকম কোনও ব্যাপারই না। আমরা প্রথম দিন থেকেই বলে আসছি যে, জামায়াতের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই এবং কোনও ব্যক্তির সঙ্গে বা কোনও রাজনৈতিক নেতার বিশেষ কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করবো। লক্ষ্য হবে অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন করার পথে কেউ যদি কোনও বাধা দেয়, সেখান থেকে মুক্ত করার ব্যাপারে আমরা জোরদার হবো।’
ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, আমাদের এই উদ্যোগ নিয়ে যেন কোনও বিতর্ক আর না হয় সেজন্য আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার কোনও সুযোগ নেই ওবায়দুল কাদেরর এই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, এই বক্তব্যকে আমি স্বাগত জানাই। এটাই তো সবচেয়ে বড় দাবি। তারা সংবিধানের সবকিছু মেনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করলেই হবে।
‘আগামী নির্বাচনকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা তো সংবিধানের নেই’ সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, এগুলো সংবিধানে ছিল। সংবিধান সংশোধন করে বাদ দেওয়া হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের সুবিধার জন্য।
তারেক রহমানের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনও সম্পর্ক না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যক্তি হিসেবে কোনও সম্পর্ক নেই, দল হিসেবে আমরা আমাদের সাত দফা নিয়ে কাজ করবো। এজন্য ওনার সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হয় না এবং আমরা কথাও বলি না।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজানোর দাবি করা হলেও এই কমিশন গঠনের আগে সার্চ কমিটিতে তার সুপারিশ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিজের মুখেই বললেন যে, আমি পারছি না। এছাড়া কমিশনের একজন মেম্বার চলে গেলেন। এগুলো তাদের কাজের মধ্য দিয়ে প্রশ্ন। আমরা চেয়েছি যে কার্যকরভাবে তারা ভূমিকা পালন করবেন।’