দাবিগুলো হলো-
১. অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারের পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকার গঠন করতে হবে।
২. অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও ইভিএম ভোটিং ব্যবস্থা চালুর ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।
৩. সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ২০ দলীয় জোটনেত্রী খালেদা জিয়াসহ বিরোধী দলের সব নেতাকর্মীকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেওয়া ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
৪. এখন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত সকল রাজনৈতিক মামলা স্থগিত রাখতে হবে। নতুন করে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া বন্ধ এবং রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। কথিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব কালা-কানুন বাতিল করতে হবে।
৫. বিচারবিভাগের ওপর অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করে ঢেলে সাজাতে হবে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
৬. কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়ন এবং তাদের ওপর হামলার ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
৭. রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুম হওয়া নাগরিকদের অবিলম্বে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দিতে হবে এবং গুম-খুনের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করতে হবে।
৮. আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে থেকে এক সপ্তাহ পর পর্যন্ত বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এই আট দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতি, ধর্ম, দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সভা থেকে বলা হয়, সরকার তার নীল-নকশা অনুযায়ী নির্বাচনের আয়োজন করে পুনরায় ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহকে হয়রানি করছে। মিথ্যা মামলা, গণ-গ্রেফতার চালানো হচ্ছে। এটা কোনও অবস্থাতেই নির্বাচনের পরিবেশ নয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক মো. তাসনিম আলম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের প্রমুখ।