নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানায়। তবে এ নিয়ে দলটির সংসদীয় বোর্ডের তিনজন সদস্যের কাছে জানতে চাইলে তারা কেউই কথা বলতে চাননি।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারক মহল ইতিবাচক আসনগুলোতে মনোনয়নের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে। কোনও চাপ বা তদবিরে ইতিবাচক আসনে কেউ মনোনয়ন পাবেন না। এসব আসনে তারাই মনোনয়ন পাবেন যাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার সামর্থ্য আছে। অপরদিকে যেসব আসনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেও জেতার সম্ভাবনা নেই সেসব আসনের ক্ষেত্রে ভিন্ন কৌশল গ্রহণ করবে দলটি। এসব আসনে নতুন নতুন প্রার্থী, তরুণ প্রার্থী এমনকি কাউকে কাউকে স্বান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের একাধিক সদস্যের কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তারা কেউই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
সূত্র মতে, মনোনয়নকে কেন্দ্র করে কমপক্ষে ছয়টি জরিপ চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিভিন্ন সরকারি সংস্থার জরিপের পাশাপাশি দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের রিপোর্ট, কেন্দ্রীয় নেতাদের জরিপ, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব সূত্রের জরিপ, দেশীয় পেশাদার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জরিপ এবং একটি বিদেশি গবেষণা সংস্থা দিয়ে এসব জরিপ পরিচালিত হয়েছে।
৩০০ আসনেই পরিচালিত এসব জরিপ বিশ্লেষণ করে দলটির নীতি-নির্ধারকরা মনে করছেন, ১৪০ থেকে ১৬০টি আসনে সহজেই জয়লাভ করবে আওয়ামী লীগ। ৪০ থেকে ৬০টি আসনে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এসব আসনে দলের ঐক্য বজায় রেখে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক শক্তি প্রয়োগ করলে বিজয় ঘরে তোলা সম্ভব হবে। যে কারণে এসব আসনে শক্তিশালী প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। দল থেকেও ওই প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত এক বছর ধরেই বিভিন্ন বক্তব্যে প্রার্থী মনোনয়নে জরিপের কথা বলে আসছেন। প্রতিটি আসনে প্রার্থীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তার কাছে রয়েছে বলে একাধিকবার মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সতর্ক করেছেন তিনি। তিনি নেতাকর্মী ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রার্থীদের। সর্বশেষ বুধবার মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তার সঙ্গে সৌজন্য স্বাক্ষাৎ করতে যান। সেখানেও তিনি সর্বাধিক যোগ্য প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।