হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দেওয়ার পর নির্বাচন ভণ্ডুল করার লক্ষ্যেই বিএনপি নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নির্বাচন পেছানোর দাবি করলো। এরপর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিনা উসকানিতে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপই শুধু নয়, ঘেরাওয়ের মাধ্যমে নির্লজ্জ হামলা পরিচালনা করে তিনটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হলো, পথচারীদের ওপর হামলা পরিচালনা করা হলো। অর্থাৎ তাদের (বিএনপির) নির্বাচন পেছানোর দাবি, বিএনপি অফিসের সামনে আগুন সন্ত্রাস ও হামলা একই সূত্রে গাঁথা।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘বাঁশ আর লাঠি নিয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যাওয়ার মানে হচ্ছে, সংঘাত সৃষ্টির পূর্ব প্রস্ততি নিয়েই বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের কার্যালয়ের সামনে হাজির হয়েছিল।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার কঠোর সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের মিথ্যাচার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ‘মিথ্যা ফখরুল’ নামটি তার যথার্থ হয়েছে। আর মাহমুদুর রহমান মান্নাকে নৌকা থেকে বের করে দেওয়ার পর উনি এখন খালেদা জিয়ার জন্য নাকি জীবন দেবেন এবং তিনি যে ভাষায় বক্তব্য দিচ্ছেন, তাতে ওনার আর মির্জা ফখরুলের মধ্যে মিথ্যা বলার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শুধু যারা হামলার সঙ্গে যুক্ত তাদেরই নয়, যারা হামলার মদদদাতা তাদেরকেও অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। আর এই হামলা নিয়ে মির্জা ফখরুল, মাহমুদুর রহমান মান্না, রিজভীসহ যারা মিথ্যাচার করছে, তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আকতার হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন টয়েল প্রমুখ।