নিরপেক্ষ নির্বাচনের সমতল ক্ষেত্র এখনও তৈরি হয়নি: মির্জা ফখরুল





মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরনিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সমতল ক্ষেত্র এখনও তৈরি হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়নি। মিডিয়া নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না। বিটিভি, সংবাদ সংস্থা, বেসরকারি গণমাধ্যমগুলো সরকারের তথাকথিত উন্নয়নগুলো প্রচার করছে। নিরপেক্ষতা বজায় রাখছে না। গ্রেফতার বন্ধ হয়নি। বারবার বলার পরও গ্রেফতার চলছে।’


রবিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানে রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্য যে এগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। আমরা চাই সুষ্ঠু অবস্থা তৈরি হোক। দলগুলো যে অবস্থায় স্বস্তি ফিল করবে। মামলা-মোকদ্দমা বন্ধ করা হোক।’
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও খালেদা জিয়ার মুক্তির অংশ হিসেবে বিএনপি নির্বাচনে গেছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেই জন্য আনুষ্ঠানিকতার কাজগুলো করছি। আজকে আমাদের দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করছি না অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যে নির্বাচনের জন্য আমরা দীর্ঘকাল আন্দোলন সংগ্রাম করছি। সরকার একতরফা, একদলীয় নির্বাচন করার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একটি ফলপ্রসূ ও অর্থবহ নির্বাচনের দাবি সব সময় তুলে ধরছে। আমরা নিজেরাও সংলাপে গিয়েছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিটিভিকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে। তথাকথিত উন্নয়ন প্রচার বন্ধ রাখতে হবে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরও সমান সুযোগ দিতে হবে। এই বিষয়গুলো ইসিকে জানানো হয়েছে। অন্যান্য বিষয়গুলোও জানানো হবে।’
ফখরুল বলেন, ‘প্রথম দিনে রংপুর বিভাগের ৩৩ আসনে ১৫৮ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। রাজশাহী বিভাগের ৪১ আসনে ৩৬৮ জনের সাক্ষাৎকার চলছে।’
তারেক রহমান সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন, এতে নির্বাচনি আচরণ ভঙ্গ হচ্ছে, ক্ষমতাসীনরা ইসিতে এমন অভিযোগ দিয়েছেন, এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ফখরুল বলেন, ‘ইসি নিজেরাই আচরণ ভঙ্গ করছেন। আমার দলের সাক্ষাৎকার কীভাবে নেবো, এটা আমার সিদ্ধান্ত। ’
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আপনারা কী নির্দেশনা দিচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘আমরা বলেছি, নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে যেভাবে প্রস্তুতি দরকার, আপনারা সেভাবে প্রস্তুতি নিন। কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। সজাগ থাকতে হবে। একতরফা নির্বাচনের জন্য যেন কেন্দ্র দখলে নিতে না পারে।