জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে: রাঙ্গা

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন জাতীয় পার্টির নব নিযুক্ত মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাজাতীয় পার্টির নবনিযুক্ত মহাসচিব ও স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, জাতীয় পার্টিকে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দল হিসেবেই প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের সব নেতাকর্মীকে আবারও সংগঠিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। দলকে শক্তিশালী করতে আমরা আরও রাজনৈতিক কর্মী তৈরি করবো।’

তিনি জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং গণমাধ্যমের সহায়তাও কামনা করেন। সোমবার (৩ ডিসেম্বর) বিকাল চারটায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে নবনিযুক্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘মহাজোটের (১৪ দল) কাছে জাতীয় পার্টি ৫২টি আসন প্রত্যাশা করে। তবে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই আসন চূড়ান্ত করা হবে।’

মসিউর রহমান রাঙ্গা  বলেন, ‘৯ ডিসেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্তভাবে আসন বণ্টন হবে। কোনোভাবেই মহাজোটে ভুল বোঝাবুঝি হবে না।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাঙ্গা বলেন, ‘দলের মধ্যে কেউ মনোনয়ন বাণিজ্যে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এজন্য প্রয়োজনে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হবে।’

জাতীয় পার্টির নবনিযুক্ত মহাসচিব আরও বলেন, ‘গত নির্বাচনের আগেও দলের মধ্যে একটি ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছিল। তাতে আমরা নির্বাচনে প্রত্যাশিত ফলাফল পাইনি। এবারও নির্বাচনের পূর্বে একটি অশুভ শক্তির তৎপরতায় স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। হায়েনার মতোই অশুভ শক্তি তৎপরতা শুরু করেছিল।’

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন মশিউর রহমান রাঙ্গাবিএনপির সমালোচনা করে মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে বিনা বিচারে সাত বছর জেলখানায় আটকে রেখে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। আর এ কারণেই জাতীয় পার্টি বিএনপিকে সমর্থন না দিয়ে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠনে সহায়তা করে।’

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনায় রাঙ্গা আরও বলেন, ‘আমরা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শ তৃণমূলে আবারও ছড়িয়ে দেবো, যাতে প্রতিটি মানুষ ভোট দেওয়ার আগে একবার হলেও ভেবে দেখবেন। তাদের সামনে তুলে ধরা হবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নয় বছরের শাসনামল।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কাছে আমরা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উন্নয়ন, সুশাসন এবং মানবিক কর্মসূচি তুলে ধরতে পারলে দেশের মানুষ অবশ্যই জাতীয় পার্টির লাঙলে ভোট দেবে।’

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন, সুনীল শুভরায়, আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান, মেজর (অব.) মো. খালেদ আখতার, শফিকুল ইসলাম সেন্টু। উপদেষ্টামণ্ডলীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, মো. নোমান, সোমনাথ দে, মোর্শেদ মুরাদ ইব্রাহিম, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী। ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, জহিরুল ইসলাম জহির, আলমগীর সিকদার লোটন, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, জহিরুল আলম রুবেল, দিদারুল কবির দিদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম, মোবারক হোসেন আজাদ, আমির হোসেন ভূঁইয়া, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া,  হেলাল উদ্দিন, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে ছিলেন সুলতান মাহমুদ, অনন্যা হুসাইন মৌসুমী, এম.এ. রাজ্জাক খান, মৌলভী ইলিয়াস, আবু সাঈদ স্বপন, কাজী আবুল খায়ের, হাসান মঞ্জু, হাফেজ কারি ইসারুহুল্লাহ আসিফ। কেন্দ্রীয় নেতা ফজলে এলাহী সোহাগ, রেজাউল রাজি স্বপন চৌধুরী, আক্কাস আলী সরকার, আজাহার সরকার, আলমগীর কবির, মামুনুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন মিলন, ফারুক শেঠ, ওলিউল্লাহ মাসুদ প্রমুখ।