সাবেক সিইসি’র দেখানো পথে হাঁটছেন নূরুল হুদা: রিজভী

রুহুল কবির রিজভী (ফাইল ফটো)বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা সাবেক সিইসি কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদের দেখানো পথে হাঁটছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘‘সিইসি শব্দটি উচ্চারণ করলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সাবেক সিইসি কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদের নাম। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে তার ভূমিকা দেশ-বিদেশে নিন্দিত ও কলঙ্কিত। ক্ষমতাসীনদের ‘নাচের পুতুল’ ওই কাজী রকিব এখন ইতিহাসের পাতায় ১৭৫৭ সালের বিশ্বাসঘাতক মীর জাফর আলী খাঁর সঙ্গে তালিকাভুক্ত। জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে কাজী রকিব যে পথে হেঁটেছেন, বর্তমান সিইসি কে এম নূরুল হুদাও যেন সে পথেই চলতে শুরু করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু তাই নয়, সেটাকে এক ডিগ্রি বৃদ্ধি করে নৈতিকতার মাথা খেয়ে নূরুল হুদা নিজের ভাগিনাকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী করেছেন। তার (ভাগিনা) সঙ্গে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বসে বৈঠকও করছেন।’’

পরিকল্পনামন্ত্রী লোটাস কামালের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সেখানে তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির ভয়াবহ পরিকল্পনা ফাঁস করেছেন। প্রকাশ্যে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়ে লোটাস কামাল বলছেন, ‘একটা একটা করে খুঁজবেন, ২৮ তারিখের আগে যদি এলাকা ছেড়ে না যায়, তাহলে আর ছাড় নাই। তাদের চৌদ্দগোষ্ঠী পর্যন্ত উৎখাত করবো।’

লোটাস কামালকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, ‘এসব হুমকি, ভয়ভীতি দেখিয়ে এবার আর লাভ হবে না। যখন জনগণ ভোটের মাঠে নেমে আসবেন, তখন কোনও ফন্দি কাজে দেবে না। কাচের মতো সবকিছু চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে। অপেক্ষা করুন, জনগণের বিজয়ের দিন খুবই নিকটবর্তী।’

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবি করা ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ প্রশাসনের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি, এসপিসহ ৯২ জনকে অবিলম্বে বদলি করার দাবি জানান রিজভী। তিনি বলেন, ‘না হয় নির্বাচনের কোনও গ্রহণযোগ্যতা আসবে না। গণতন্ত্রকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। সাংবিধানিক অধিকার যেমন সংকুচিত, তেমনই ক্ষমতায় থেকে লুটপাটকারীদের অর্থের দৌরাত্ম্য কালো থাবার মতো বিস্তার লাভ করেছে। এই অবস্থা থেকে জনগণকে মুক্ত করতে গণতন্ত্র রক্ষার যুদ্ধে নেমেছে বিএনপি, ২০ দল এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।’