কচুয়া উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের গণপদত্যাগের হুঁশিয়ারি

কচুয়া উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের সংবাদ সম্মেলনসাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলনকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে মনোনয়ন দেওয়া না হলে কচুয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির সকল অঙ্গসংগঠনের তৃণমূল নেতাকর্মীরা গণপদত্যাগ করার হুমকি দিয়েছেন। শনিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুমকি দেন কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আবেদীন স্বপন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘নকলমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, দুইবারের সংসদ সদস্য ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এহসানুল হক মিলন ৩৬টি মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে আজ কারা অন্তরীণ। তিনি এ দেশের শিক্ষাঙ্গনকে শুধু নকলমুক্তই নয়, বরং তিনি জাটকা নিধন অভিযানেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সফল উল্লেখ করার মতো একটি কাজও যদি হয়ে থাকে তাহলে সেটা ড. মিলনের নকলবিরোধী অভিযান। পরবর্তীতে ওয়ান ইলেভেনের সরকার ড. মিলনের বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির মামলা করতে না পারলেও মহাজোট সরকার তার বিরুদ্ধে ৩৬টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এরপর তিনি ২০১০ ও ২০১১ সালে ৪৪৯ দিন বিনা বিচারে কারাভোগ করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘এহসানুল হক মিলন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তার মনোনয়নপত্র চাঁদপুর রিটার্নিং অফিসার বৈধ বলেও ঘোষণা করেন। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য, আজ আমরা অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি, মিলন ভাইকে অযৌক্তিক অজ্ঞাত ও অনভিপ্রেত কারণে বিএনপি চূড়ান্ত মনোনয়ন না দিয়ে এক আদম ব্যাপারির দ্বারস্থ হয়েছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জা এবং অপমানের। দলের শীর্ষনেতারা মিলন ভাইয়ের চূড়ান্ত মনোনয়নের ব্যাপারে আমাদের একাধিকবার নিশ্চিত করলেও গতকাল শুক্রবার দুপুরের পর থেকে হঠাৎ দৃশ্যপট পাল্টে যায়। কিন্তু কেন এবং কার ইঙ্গিতে এই উদ্ভট পরিবর্তন?’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাজমুন্নাহার বেবি, কচুয়া উপজেলা যুবদল সভাপতি মাসুদ ইলাহি সুবাস, সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম মিন্টুসহ প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মী।

এর আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার দুপুরে মনোনয়ন না পাওয়ার কারণে মিলনের পক্ষে স্লোগান এবং বিক্ষোভ করেন তার অনুসারীরা। পরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট তালা দিয়ে বন্ধ করে দেন তারা। প্রায় দেড়ঘণ্টা পর গেট খুলে দিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে এসে তাৎক্ষণিকভাবে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে তার সমর্থকরা গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দিকে রওনা হয়।