সাংবাদিকদের সঙ্গে ড. কামালের ক্ষুদ্ধ আচরণে আওয়ামী লীগের নিন্দা

১২

মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকদের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের ক্ষুদ্ধ আচরণের নিন্দা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে দলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এই নিন্দা জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

এসময় তিনি বলেন, ‘গতকাল ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন সাংবাদিক বন্ধুদের সাথে কী ধরনের ক্ষুব্ধ আচরণ করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের হুমকি-ধামকি দিয়েছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। রাজনীতিতে কামাল হোসেনকে কখনও জাতির সংকট মুহূর্তে পাওয়া যায়নি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং ১৯৭৫ সালে ড. কামাল হোসেনের রহস্যাবৃত বিতর্কিত ভূমিকার কথা দেশবাসী জানে। দেশ ও জাতির প্রয়োজনে তাকে কখনও পাওয়া যায়নি বরং তিনি বিভিন্ন সময়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন ড. কামাল হোসেনের ষড়যন্ত্র-রাজনৈতিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতারই অংশ।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রতিনিয়ত নয়াপল্টনে বসে মিডিয়ার সামনে মিথ্যাচার করে চলছেন দাবি করে নানক বলেন,  ‘রিজভীর অসংলগ্ন কথাবার্তা ও নির্লজ্জ মিথ্যাচার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, যা শুনলে স্বয়ং ইবলিশ শয়তান ও লজ্জা পেতে পারে। মিথ্যা বলাকে অভ্যাসে পরিণত করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী সাহেব প্রলাপ শুরু করেছেন। আপনারা দেখছেন যে, তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে কীভাবে লজ্জাজনক মন্তব্য করেছেন। তারপরও আমরা বিএনপি নেতৃবৃন্দকে আহ্বান জানাই- মিথ্যাচারের পথ পরিহার করে সত্য ও সঠিক পথে ফিরে আসুন।’

বিএনপি মিথ্যাচার করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করছে অভিযোগ করে নানক আরও বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে দেশবাসী ও ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে এবং অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচার প্রচারণা চলছে। কিন্তু দেশবাসীর সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করেছি, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা সকাল থেকে সারাদিন মিডিয়ার সামনে লাগাতারভাবে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে উস্কানি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’ এসময় অপপ্রচার ও মিথ্যাচার ছেড়ে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি।

বিদ্রোহী প্রার্থী প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে নানক বলেন, ‘আওয়ামী লীগে কোনও বিদ্রোহী প্রার্থী নাই। কিছু প্রার্থী আছে যাদের ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে এবং আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করতে হবে। নতুবা আমরা কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এ বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর সবুর, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপ দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।