ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার জাতির সঙ্গে তামাশা: আ. লীগ

 



আওয়ামী লীগজাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলমান রাখা ও দুর্নীতিরোধের অঙ্গীকার জাতির সঙ্গে তামাশা বলে মনে করে আওয়ামী লীগ।

সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান এ কথা বলেন।

আব্দুর রহমান বলেন, ‘২৩ জনের অধিক যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসূরী ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছে। আর যুদ্ধাপরাধীরা ঐক্যফ্রন্টের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই আছে। সুতরাং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তারা করবে—এটা একটা হাস্যকর ব্যাপার, অবিশ্বাস্য।’ তিনি বলেন, ‘যারা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে, মনোনয়ন দিয়েছে, তারা কী করে এই যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে? এটা জনগণের সঙ্গে নেহায়েত প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না।’ জাতিকে বিভ্রান্ত করে এই ইশতেহারের মাধ্যমে ভোটারদের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট তামাশা করছে বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, ‘তারেক জিয়া দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত। খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন হাওয়া ভবন তৈরি করে দুর্নীতির আখড়া তৈরি করেছিলেন। তিনি (খালেদা জিয়া) নিজে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত। তাদের মুখে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার কথা ভূতের মুখে রাম নাম। দেশের মানুষ কোনোভাবেই বিশ্বাস করে না তারা দুর্নীতি দূর করবে। এটা ভোটের রাজনীতিতে অবস্থান তৈরি করার জন্য মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল মাত্র।’
আব্দুর রহমান বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশের মধ্য দিয়ে এটা পরিষ্কার যে, নির্বাচন বানচালের নানা চক্রান্তের জাল বুনছেন তারা। যারা নির্বাচন বানচালের চক্রান্তে আছেন, তাদের বলতে চাই—যেকোনও মূল্যে আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা তারা নিজেরাই ঘটিয়েছে। তাদের মনোনয়ন বাণিজ্যে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এর দায়ভার ও দোষ আমাদের ওপরে চাপানোর চেষ্টা করে, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা তারাই চালিয়ে যাচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের আরেক যুগ্ম সাধারণ জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।