সাবেক সভাপতি রেজাউল করিমের সন্ধান চায় ছাত্রশিবির

রেজাউল করিমসংগঠনের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিমের সন্ধান চেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৫ আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী ডা. শফিকুর রহমানের নির্বাচনি সমন্বয়ক ড. মুহাম্মাদ রেজাউল করিম ও তার গাড়ির ড্রাইভার মুহাম্মাদ মুহিবুল্লাহকে পাওয়া যাচ্ছে না। রেজাউল করিম জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি।

শিবিরের প্রচার সম্পাদক খালেদ মাহমুদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত ও সেক্রেটারি মোবারক হোসাইন বলেন, ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নির্বাচনি বিভিন্ন প্রোগ্রাম শেষ করে ঢাকা মেট্রো গ-২৬-৬৯১৯ গাড়িযোগে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। কিন্তু, সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের পর থেকে পরিবার ও সংগঠনের সঙ্গে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। রেজাউল করিমের গাড়িরও হদিস পাওয়া যাচ্ছে না, যা অস্বাভাবিক।

বিবৃতিতে বলা হয়, ছাত্রশিবির যশোর জেলা পূর্ব সভাপতি, সেক্রেটারি, স্কুল সম্পাদকসহ দুইজন জামায়াত নেতাকে ডিবি পুলিশ গত ২০ ডিসেম্বর রাতে গ্রেফতার করলেও এখন পর্যন্ত তাদেরও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

ছাত্রশিবির সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ড. রেজাউল করিম ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ আসনের নির্বাচনের সমন্বয়ক ছিলেন। সারাদেশের মতো ওই আসনেও ধানের শীষ প্রতীক প্রার্থীর নির্বাচনি কার্যক্রমে পুলিশ ও সরকার দলীয় লোকজন নির্বাচন কেন্দ্রিক হয়রানি ও হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করেছে বলে দেশবাসী মনে করছেন। কেননা, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে এমন ঘটনা বহু ঘটছে। অতীতেও ঘটেছে।

শিবির সভাপতি দাবি করেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টির বাইরে নেই। অবিলম্বে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা আশা করি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে দ্রুত নিখোঁজদের সন্ধান ও মুক্তির ব্যবস্থা করবেন।