সিলেটের প্রার্থীদের পক্ষে বসে নেই যুক্তরাজ্য প্রবাসীরাও

নৌকা প্রতীকের পক্ষে সভাজাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেটের বিভিন্ন আসনে পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে মাঠে নেমেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসীরাও। অনেকেই পছন্দের পার্থীর পক্ষে প্রচারের জন্য দেশে ফিরেছেন। কেউ কেউ পছন্দের দল ও প্রার্থীর পক্ষে শেষ মুহূর্তে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে নির্বাচনি সভা করছেন। কোনও কোনও সভা থেকেই নেতাকর্মীরা প্রার্থীদের পক্ষে তহবিল সংগ্রহেরও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এছাড়া পছন্দের প্রার্থীর জন্য ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সহযোগিতাও করছেন।
সূত্র জানায়, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেটের ১৯ আসনের বাসিন্দাদের মধ্যে অন্তত হাজারখানেক প্রবাসী দেশে ফিরছেন। পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে ও ভোট দিতে বিপুল সংখ্যক যুক্তরাজ্যপ্রবাসী দেশে ফিরেছেন।
যুক্তরাজ্য যুবলীগের একজন সহসভাপতি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘মৌলভীবাজার-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নেছার আহমদ। বিএনপির বিত্তবান প্রার্থী তার বিপরীতে। কিন্তু নেছার ভাইয়ের নিজের টাকা-পয়সা কম। এজন্য প্রবাসী নেতাকর্মীরাও তাকে সহযোগিতা করছেন।’
সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে মহাজোটের প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে দেশে এসেছেন লন্ডন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের স্মৃতিতে নির্বাচন বাংলাদেশে একটা বড় উৎসব। এ উৎসবে অংশ নেওয়া, পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতেই দেশে আসা।’
ধানের ধীষ প্রতীকের পক্ষে সভাযুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শরীফুজ্জামান চৌধুরী তপন বলেন, ‘আমাদের আসনে ধানের শীষের প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর (মৌলভীবাজার-২)। এবার লন্ডন থেকে দলীয় বা সমন্বিতভাবে কোনও চাঁদা তোলা হচ্ছে না। তবে ব্যক্তিগতভাবে তাদের এলাকার ২০ থেকে ২৫ জন প্রবাসী দলীয় প্রার্থীর জন্য আর্থিক সহযোগিতা করবেন।’
যুক্তরাজ্যের কলচেস্টার বিএনপি সভাপতি মিছবাহ উদ্দীন বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমাদের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে দলের একশ যুক্তরাজ্য প্রবাসী দেশে গেছেন। তারাও পছন্দের দলীয় প্রার্থীর জন্য খরচ করবেন।’
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রবীণ নেতা লোকমান উদ্দীন বলেন, ‘সিলেট, সুনামগঞ্জ বা মৌলভীবাজারের এক একটি গ্রামেরই দুইশ প্রবাসী যুক্তরাজ্যে রয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, দেশের ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে সভা করে চাঁদা তুলে বড় অংকের আর্থিক সহযোগিতার রেওয়াজ বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের প্রবাসীদের মধ্যে প্রচলিত আছে।