আহমদ শফীর বক্তব্য দুঃখজনক: মির্জা ফখরুল




মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরহেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বক্তব্যে হতবাক ও বিস্মিত হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আহমেদ শফি নারীদের শিক্ষাবিরোধী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক।’
রবিবার (১৩ জানুয়রি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
গত শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) জুমার নামাজের পর চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলে চট্টগ্রাম ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজনদের উপস্থিতিতে হেফাজতে ইসলামীর আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী মেয়েদের স্কুল-কলেজে না পাঠানোর জন্য ওয়াদা করিয়ে নেন।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মেয়েদের স্কুল-কলেজে না পাঠানোর জন্য হেফাজতে ইসলামীর আমিরের বক্তব্যে আমি হতবাক ও বিস্মিত হয়েছি। একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে এই ধরনের বক্তব্য বাংলাদেশিদের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বিব্রত করবে। নারী শিক্ষার সঙ্গে ধর্মের কোনও বিরোধ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি মনে করে নারী সুশিক্ষায় আলোকিত না হলে তাদের বিকাশ ও প্রকৃত ক্ষমতায়ন হবে না। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে শিক্ষিত হওয়া ছাড়া ইসলামে সমাজ কল্যাণ, অর্থনেতিক ও মানবিক সাম্যসহ ইসলামের অন্তর্নিহিত মর্মবাণী বুঝতে সক্ষম হবে না। সন্তানের প্রাথমিক শিক্ষালাভ ঘটে মায়ের কাছ থেকেই। নৈতিক ও অক্ষর পরিচয়ের প্রথম পাঠশালাই হলো মায়ের সাহচর্য। সুতরাং মা সুশিক্ষিত না হলে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানটি ঐক্যবদ্ধ ও সুসংহত হয় না।’
সামাজিক অন্যায় ও বৈষম্য দূর করার জন্য অবশ্যই নারীর শিক্ষা অপরিহার্য বলে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের জনসমষ্টির অর্ধেকই নারী। প্রাচীন প্রথা ও কুসংস্কারের নিগড় থেকে বেরিয়ে এসে জাতি গঠনমূলক ও জাতীয় অর্থনীতিতে যথার্থ ভূমিকা পালনের প্রধান শর্ত হচ্ছে নারী শিক্ষা। এটাই হচ্ছে বিএনপি’র ঘোষিত নীতি।’
তিনি বলেন, ‘নিগ্রহ ও অসম্মানের হাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশের অক্ষরহীন নারীদের অবশ্যই পড়ালেখা করতে হবে। তা না হলে আমাদের দেশ ও সমাজ অগ্রসরমান পৃথিবী থেকে অনেক পেছনে অবস্থান করবে।’
আরও পড়ুন…
আমার বক্তব্যের খণ্ডাংশ মিডিয়ায় ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে: শফী